আসছে যাচ্ছে চতুর্দিকে বেরাছে ঘুরে
মুখে যে দুটি ঠোঁট তার কোণে লুকিয়ে রেখেছে ঈষৎ হাসি
হাল্কা চাল কদম ভারী তাতে ফুটিয়ে তুলেছে এক ভাব
ভাবে পরিষ্কার সে যে বুঝে বা বিশ্বাস করে সেটা মন্দ নয়
বরং যুক্তির পরাকাষ্ঠায় অন্যের থেকে বহু উন্নত, সঠিক
সঠিক বেঠিকের কোষ্ঠী পাথর সেটি তো বহুদূর
নাগালের মধ্যেই তো আছে তার বিদ্যাবুদ্ধি একটু যাক ধরা
কিন্তু ধরতে যাবো কি তার আগেই সে চড়ুই দেয় উড়ান ফুড়ুৎ
ঘুলঘুলির পাখি ঘুলঘুলে যাবে পাগাল যাবে কাঁদায়
কেউ করবে চুরি ভাবের ঘরে বসে কেউ ঘরে বসে খাবে কচু
আমার ঘর আমার কাছে দেখ্যার মধ্যে আছে আমার ঘর করে না নেয় চুরি
এতদূর ঠিক ছিল যতদূর ছিল না আমার নাক
নাকের কাছে মুখের উপরে চলছে তার অনবরত খোঁড়া যুক্তির বাহাদুরি
আসছে কানে ভেসে বহুদূর থেকে সে নাকি যাবে ছাদ থেকে চাঁদে
গাছের ডালে যতো না আছে পাতা তার থেকে বেশি কামাবে টাকা
আর হবে হলিউড বলিউডদের মতো সেলেব্রিটি
চাঁদ তো মামা
নানিকে দেখতে সে যেতেই পারে নানার বাড়ী
আর টাকা মাটি মাটি টাকা
এরকম অযুক্তিক জীবন মাটি করে সে অর্জন করতেই পারে টাকা
তবে সেলেব্রিটি? নৈবচ! নৈবচ!
সারদিন ছুঁচো গর্তে থাকে রাতেও ফেসবুক চালাতে পারে না বা চলে না
কেননা কেউ শুনে না তার কুখাদ্য দর্শন
অখাদ্য যুক্তি আর কুসংস্কারচ্ছন্ন বানী
একে বিশ্বাস নেই বহুতে আছে তার হরদম গমন
তবু সে মনে করেনা যে সে বহুগামী হারযায়ী
জীবন তার কাছে মায়া আর জগতে যে চলছে আনাগোনা সেটা ঢেউ
যে যায় সেই ফিরে আসে
যে ফিরে এসেছে সেই একদিন গিয়েছিল
আর কর্মেরফল হল শিমূল ঋতুচক্রে বসন্ত এলেই ফোটে
ভাগ্যের কাছে বিবেক পরাজিত তাই বিবেকের পরম কোন বিচার নেই
তার বিশ্বাস তার কাছে আর আমার কাছে আছে আমার বিশ্বাস
এতদূর সব ঠিক ছিল যতদূর ছিল না আমার কর্তব্য
আর এই কর্তব্যের কারনেই আমি তাঁকে ধরতে চাই
কিন্তু ধরবো কি ধরার আগেই সে ফুড়ুৎ কেননা সে তো ছিল চড়ুই ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem