ইদানিং ফেসবুক আর ইন্টারনেটে
কিছু মুফতির আগমন ঘটেছে
তারা সৌদি ওহাবী সরকারের আশির্বাদপুষ্ট
কিন্তু নিজেদের পরিচয় দেয় আহলে হাদিস
লা মাজহাবী কিংবা সালাফি বলে
তারা তাদের কর্মকাণ্ডের বিনিময়ে লাভ করে আর্থিক সুবিধা
তারা ওহাবীদের বেতনভুক্ত চাটুকার
তাদের কাজ হল ইসলামে নতুন নতুন ফের্কার আবির্ভাব ঘটানো
যে সব বিষয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে প্রচলিত
সেসব আমলকেও তারা বিদাত, শিরক ইত্যাদি নামে অভিহিত করে
সাধারণ মুসমানকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে
যেমন তাদের মতে শবে বারাত বলে কুরআনে হাদিসে কিছু নেই
এটা বেদাত একথা শুনে যে কেউ হঠাত ভাবতে পারেন
তাইতো কুরআনে তো শবে বারাত বলে কোন শব্দ নাই
তাদের এক ধরণের ধোঁকা বা ফাঁদ
আসলে শবে বারাত ফার্সি শব্দ
তাই এই শব্দগুলো কুরআন বা হাদিসে নেই
নামাজ-রোজাও কুরআনে বা হাদিসে নেই
কুরআন ও হাদিসে রয়েছে সালাত আর সাওম
এগুলোর ফার্সি প্রতিশব্দ হল নামাজ ও রোজা
তেমনি ভাবে শবে বারাত ও ফার্সি শব্দ
কুরআনে "লাইলাতাম মুবারাকা" বলে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন সূরা দুখানে শবে বারাতকে উদেশ্য করেছেন
তিনি ঘোষণা করেন যে 'এই রাতে প্রজ্ঞাময় বিষয়ের ফায়সালা হয়ে থাকে'
হাদিসে এই রাত্রিকে বলা হয়েছে "লাইলাতুন-নিসফু মিন শাবান"
শাবানের মধ্য রাত্রি
কোন কোন তাফসীরকারগণ "লাইতাতাম মুবারাকা" দিয়ে শবে কদরকে বুঝিয়েছেন
আবার অনেকেই এর দ্বারা শবে বারাতকে বুঝিয়েছেন
কেননা যে রাতে ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয় কিংবা প্রজ্ঞাময় বিষয়ের ফায়সালা করা হয় তা শবে কদর নয়
বরং শবে বারাত বা শাবানের মধ্য রাত্রি
এই নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে তার কিছু সহীহ আর কিছু হাসান সহীহ পর্যায়ের
তবে আহলে হাদিস নামের খবিসদেরকে বলতে শুনবেন ওইসব হাদিস জাল, দুর্বল কিংবা বানোয়াট
শবে বারাত সংক্রান্ত অনেক হাদিসের মধ্যে কিছু হাদিসের কয়েকজন বর্ণনাকারী সম্পর্কে কিছু সন্দেহ রয়েছে
যেমন তাদের কারো নামে অভিযোগ রয়েছে যে তাদের মেধা অন্যান্য বর্ণনাকারীর সমপর্যায়ের নয়
কারো বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ যে তিনি হাদিস বাড়িয়ে বলতেন
কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে হাদিসের বিষয়বস্তু ঠিক রেখে একই হাদিস একাধিক বর্ণনাকারীর মাধ্যমে বিভিন্ন কিতাবে স্থান পেয়েছে
কাজেই বুঝা যায় যে হাদিসটির প্রতিটি শব্দ হুবহু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী না হলেও তাঁর ভাবার্থটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই
সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিমের অনেক হাদিস পড়লে দেখতে পাবেন হাদিস এক কিন্তু রাবি ভেদে কথা বা শব্দের তারতম্য রয়েছে
যেহেতু শবে বারাত সম্পর্কিত হাদিসগুলোর মধ্যে আমল ও ফজিলতে মিল খুঁজে পাওয়া যায় এবং অনেক বিখ্যাত সাহাবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
কাজেই সেগুলো হাসান সহীহ এমত পোষণ করেছেন আহলে হাদিসের ইমাম আলবানি নিজেও
শবে বরাত ফযীলতপূর্ণ নয়, বা এ রাতে গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করা বেদাত এ মর্মে কোন হাদীস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিদ্যমান নেই
বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত আছে শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে
তবে যেহেতু এ মতের বিপরীত কোন হাদীসই বিদ্যমান নেই
তাই শবে বরাতকে হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হওয়ার পরও বেদাত বলাটা হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক
আর জেনে কেউ এমনটি বলে থাকলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস অস্বীকারের ফলে ঈমানহারা হয়ে যাবে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের প্রতি বিদ্বেষী হওয়া ছাড়া হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এ ফযীলতপূর্ণ রাতকে কেউ অস্বিকার করতে পারে না
(ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী এর লেখা থেকে সংকলিত))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem