৫|প্রশ্ন: এই বিষয়ে আয়িম্মায়ে উম্নতের অভিমত উল্লেখ করে এও দয়া করে জানাবেন যে, তাঁদের অভিমত জানা কতটুকু জরুরী?
মুছলিম শরীফের একটি হাদীছে রাসুল (দঃ)এরশাদ করেন: "আমার আনীত হিদায়াত হচ্ছে বৃস্টির পানির মত........ এই দীর্ঘ হাদীছের শেষ পর্যায়ে রাসুল (দঃ)বলেন: আর এই হিদায়তের পানির প্রকৃত ধারক, বাহক এবং প্রচারক হচ্ছে তারা যাদেরকে আল্লাহ্ তায়ালা দ্বীনের ফিকহ্ বা গভীর জ্ঞান দান করেছেন।" অন্য হাদীছে রাসুল (দঃ)উলামায়ে উম্মতকে নীজের ওয়ারিছ বলেছেন। তাই দ্বীনের
যেকোন বিষয়ে তাদের রায় জানতে চাওয়া সুপথ প্রাপ্তির পরিচায়ক।
এই ক্ষেত্রে আমি শুধু কয়েকজন ইমামের রায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব:
- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)(মৃত্যুকাল: ২০৪ হিজরী)
"পাঁচটি রাতের দোয়া কবুল হয়: জুমার রাত, দুই ঈদের রাত, রজব মাসের প্রথম রাত এবং শবে বরাত।"
(কিরাবুল উম্, খন্ড ১, পৃ: ২৬৪)
-হুজুর গাউছুল আজম আবদুল কাদের জিলানি (র :)উনার বিখ্যাত কিতাব "গুনিয়াতুত তালেবীন"-এ শবে বরাতের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
-ইমাম ফাকেহী (মৃত্যুকাল ২৭২ হি :)
"মক্কাবাসি নারী-পুরুষ সেকাল থেকে আজকের দিন পর্য্যন্ত শবে বরাতের রাত্রিতে মসজিদে হারামে এসে নামাজ আদায় করে, কাবার তাওয়াফ করে এবং রাত জেগে কোরান শরিফ খতম করে।"
(আখবারে মক্কা: শাবানের মধ্য রাত তথা শবে বরাতে মক্কাবাসীর আমল)
-ইমাম মৌল্লা খসরু হানাফি (মৃত্যুকাল ৮৮৫ হি :)
"রমজানের শেষ দশ রাত, দুই ঈদের রাত, জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশরাত এবং শাবানের পনের তারিখের রাতে রাত জেগে ইবাদত করা মোস্তাহাব।"
(দুরারুল হিকাম শরহে গুরারুল আহকাম)
- ইমাম ইবনে নাজীম আল-মিছরি আল- হানাফি (মৃত্যুকাল ৯৭০ হি :)
উনি উনার বিখ্যাত কিতাব 'বাহরুর রায়েকে' উপরোল্লিখত মৌল্লা খসরুর ন্যয় একি অভিমত ব্যক্ত করেন।
-উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীছ বিশারদ ইমামুল মুহাদ্দিছীন শাইখ আবদুল হক্ব মুহাদ্দেছে দেহলভী উনার বিখ্যাত কিতাব 'মা ছাবাতা বিছ্ছুন্নাহ্ ফি আইয়্যামিছ ছানাহ্' -তে একটা অধ্যায় করেছেন শবে বরাতের উপর এবং এই রাতের ফজিলত ও ইবাদত বন্দেগি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হদীছ উল্লেখ করে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
-ইমাম যুহাইলী
সিরিয়ার বিশ্বখ্যাত এই হানাফি ইমাম অধ্যাপক ডঃ যুহাইলি উনার অনবদ্য সৃষ্টি বিশালাকৃতির ইসলামি ফিকাহর কিতাবে উল্লেখ করেন:
"দুই ঈদের রাত, লাইলাতুল কদর পেতে রমজানের শেষ দশ রাত এবং শবে বরাতে রাত জেগে ইবাদত করা মুস্তাহাব। এই বিষয়ে সহিহ্ হাদীছ রয়েছে। ভোর পর্য্যন্ত অধিক হারে ইসতিগফার করা উত্তম।"
(আল-ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু)
এভাবে সলফে সালেহীন ও সকল মাজহাবের মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরাম এমন কি মাজহাব অমান্যকারী ওলামারাও বেশিরভাগ শবে বরাতের ফজিলত এবং রাত্রি জেগে ইবাদত করাকে ফজিলতপূর্ণ বলেছেন।
সংগৃহীত
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem