৬|প্রশ্ন: এই বিষয়ে বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামীক ক্লাসিক্যাল সায়েন্সের কিবলা হিসেবে গণ্য আল-আজহারের ফতওয়া জানাবেন কি?
উত্তর:
আল- আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামি আইনবিধ মুফতি আতিয়া ছকরকে এই রাতের ফজিলতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি ফতোয়া দেন:
"এই রাতের ফজিলতের উপর যেই সমস্ত হাদীছ শরিফ বর্ণিত হয়েছে তা কোন কোন মুহাদ্দিসগণ সহিহ্ বলেছেন আবার কেউ কেউ 'দায়ীফ' বলেছেন। তবে কথা হচ্ছে 'দায়ীফ' হলেও তা ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।" (আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতোয়া নং ১৩১১১০)
৭|প্রশ্ন: কতিপয় লোক যারা হাজার বছরের সেটেল্ড এই বিষয় নিয়ে শুধু শুধু বিভ্রান্তি ছড়ান এবং মুসলিম যুব সমাজকে কনফিউজ্ড করেন তারা সাধারণত ইবনে তাইমিয়ার আইডওলজিকে আক্ষরিক অর্থেই লালন করেন। দয়া করে এই বিষয়ে ইবনে তাইমিয়ার অভিমত জানাবেন কি?
উত্তর:
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইবনে তাইমিয়া থেকে না শুনা পর্য্যন্ত কোনকিছু মানতে চাননা। তাদেরকে বলছি- ইবনে তাইমিয়া বলেছেন:
"শাবানের চৌদ্দ তারিখের রাতের ফজিলত সম্পর্কিত অনেক হাদীছ ও আছার রয়েছে। ছলফে ছালেহীনের কেউ কেউ এই রাতে রাত জেগে নফল নামাজ আদায় করতেন।"
(আল ফাতওয়া আল-কুবরা, নং ৫৩৪৪)
ইবনে তাইমিয়া তার "ইকতিদাউ ছিরাতিল মুছতাকিম" কিতাবে শবে বরাত সম্পর্কে নিম্মোক্ত মতামত দিয়েছেন:
"শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছে মারফু ও আছার (সাহাবা ও তাবেঈনের অভিমত) বর্ণিত হয়েছে যেগুলো প্রমাণ করে যে, এটি একটি ফজিলতপূর্ণ রাত। সলফে সালেহীনের কেউ কেউ এই রাতে এবাদত বন্দেগি করতেন। পবিত্র মদিনা নগর সহ অনেক জায়গার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অনেক ওলামা এটাকে অস্বীকার করেছেন এবং এই সংক্রান্ত বর্ণিত হাদীছের সমালোচনা করেছেন। যেমন: হাদীছ শরিফে এসেছে: এই রাতে আল্লাহ্ বনি কালব গোত্রের মেষপালের পশমের সংখ্যার চেয়েও বেশি সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন।
তবে আমাদের অধিকাংশ আহলে ইলম্ ওলামায়ে কেরামের মতে এই রাত ফজিলতপূর্ণ। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ :) এর বর্ণিত হাদীছ এর উৎকৃস্ট প্রমাণ। তাছাড়া এই বিষয়ে আরো অসংখ্য হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, সাথে রয়েছে সলফে সালেহীন ও আকাবিরীনে উম্মতের রায়।" (ইকতিদাউ ছিরাতিল মুছতাকিম" পৃস্টা: ২৭৩)
(collected))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem