এজিদকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলা বিষয়ক
তিনদিনের কনফারেন্সে জাকির নায়িক ইমাম হুসাইনের হত্যাকে রাজনৈতিক যুদ্ধ বলেই ক্ষান্ত দেন না, এজিদকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেন।
প্রথমত, মুসলিমদের মধ্যে রাদ্বিআল্লাহু আনহু হচ্ছে সর্ব্বোচ্চ সম্মানজনক শব্দাবলী
যার নামের শেষে রাদ্বিআল্লাহু আনহু থাকে, তার ব্যাপারে মূলত বলা হয়, ‘তার উপর আল্লাহ্ রাজী ও খুশি আছেন' এবং তা সাধারণত সাহাবায়ে কিরামের ক্ষেত্রেই বলা হয়।
সাধারণত মুসলিমরা খুবই দৃঢ়ভাবে রাদ্বিআল্লাহু আনহু শুধু সাহাবাদের বিষয়ে ব্যবহার করেন।
এটা জাকির নায়িক মুখ ফসকে বলেননি, তা এর পরপরই আইআরএফ বা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (পিস টিভির প্রতিষ্ঠান)এর পক্ষ থেকে বলা হয়।
তাদের মূল কহতব্য ছিল, ‘জাকির নায়িক কি ভুল? '
তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, জাকির নায়িক ভুল নয়। সে এজিদকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেছে, জেনেই বলেছে। যদিও এজিদ কোন সাহাবী নয় সে এর পরের প্রজন্মের যার ব্যাপারে জান্নাত নিশ্চিত হয় তাকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলা যায়, এটা বলে তারা বলেন, সে কনস্টান্টিনোপলের যুদ্ধে গিয়েছিল, রাসূল দ. বলেছেন, যারা সে যুদ্ধে যাবে তারা জান্নাতি। সুতরাং এজিদ জান্নাতি। সুতরাং রাসূল দ.'র কথা অনুযায়ী এজিদকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলা যায়।
এরপর তারা রেফারেন্স দেয়। অথচ তারা যে রেফারেন্স দেয়, সেখানে লেখা আছে, প্রথম যে দল কন্সট্যান্টিনোপলের আক্রমণ করবে, তারা জান্নাতি।
এজিদ মদ্যপান করতে করতে কন্সট্যান্টিনোপলের যুদ্ধে যাওয়া সৈনিকদের বরফে দুর্দশার কথা শুনে কবিতা বলেছিল। তখন তাকে শাস্তিমূলকভাবে তার পিতা সে যুদ্ধে পাঠান।
সেটা ছিল অষ্টম যুদ্ধ।
প্রথম যুদ্ধ নয়, প্রথম অভিযান নয়।
সম্পূর্ণ জেনেশুনে রেফারেন্স দিয়ে তারা জাকির নায়েককে শুদ্ধ প্রমাণ করার চেষ্টায় হাদিসকে বিকৃত করেছে। যে হাদিসের সূত্র যে পাতার সূত্র দিয়েছে সে পাতায় বলা আছে প্রথম আক্রমণের কথা। এই সূত্র টেনে তারা জাকির নায়েককে জান্নাতি এবং সেই সূত্রে রাদিআল্লাহু আনহু বলা ঠিক আছে এবং সেই সূত্রে জাকির নায়েক ভুল নয় তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু কী কারণে কন্সট্যান্টিনোপল যুদ্ধ?
কারণ কন্সট্যান্টিনোপলের রাজা রাসূল দ.'র পবিত্র চিঠি ছিড়ে ফেলেছিল। রাসূল দ.'র পাঠানো চিঠির যদি এত মর্যাদা হয়, যে, সে চিঠির অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়া সকলে জান্নাতি, তবে সে এজিদের জন্য তা প্রযোজ্য করার চেষ্টা তারা কীভাবে করে, যে এজিদ রাসূল দ.'র ওই দৌহিত্রর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে, হুসাইন রা.'র বিষয়ে রাসূল দ. বলেছেন, এদের রক্ত আমাদের রক্ত, এদের মাংস আমাদের মাংস, এদের সম্মান আমার সম্মান এদের অসম্মান আমার অসম্মান!
রাসূল দ.'র পরিবার তথা ইমাম হুসাইন বিষয়ে রাসূল দ. বলেছেন, যারা এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
এই সবকিছু জেনেও জাকির নায়েকের মতাদর্শের কাছে এজিদ জান্নাতি হয়। রাদ্বিআল্লাহু আনহু হয়। আর আমাদের সাধারণ মানুষরা শুধু টিভিতে দেখার কারণে, দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে তাকে সঠিক মনে করি, তার কথায় এজিদকে সঠিক মনে করি, রাদ্বিআল্লাহু আনহু মনে করি, এবং ইমাম হুসাইনের হত্যাকে সঠিক মনে করি!
((সিরিয়াল চলবে।। গোলাম দস্তগীর লিসানী এর লেখা থেকে এডিট))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem