অন্তহীন মাধুর্যে সুদীর্ঘ রাত্রিকে জাগায়
স্তব্ধ স্মৃতির প্রাকৃত প্রহর, তখন
জ্যোৎস্নার অভিমান ভেঙে ডানা ভাঙা
পতঙ্গের মতো বারবার জেগেছি চুম্বনে
সমূহ শিকড় মাটি নিয়ে
যতদূর দিগন্তে সোনালী দৃষ্টি
ঘনীভূত হয় সেই প্রকৃত মুদ্রায়
হৃদয়ের ছায়া ভেসেছিল
নিজস্ব আঙ্গিকে
চেয়ে থাকি পরম প্রাপ্তির দিকে
তারপর-
বিষণ্ণতা- বিষ- সমস্ত আঁধার
দেহের উত্তাপে ছাই হয়ে
জয় করে জরা- মৃত্যু
রুক্ষ মাটির পলাশ ফুলের হৃদয়
তার ছেঁড়া পাতা নিয়ে কোনো এক
উজ্জ্বল ভোরের কথা ভাবে
সেখানে পবিত্র করতল হতে
ভালোবাসার ভেজানো মুকুল
ছড়িয়ে পড়ে আজো
ঘন অন্ধকারে সে আকাশ
আলোক শিখার মতো
চৈত্রের বিনম্র গুঞ্জনে
মনের মলিন অসুখ ঢেকে
নির্নিমেষ চেয়ে থাকে
প্রত্ন কবিতার সহজ অক্ষরে
আর প্রদীপের ম্লান আদিম বিশীর্ণ শরীরের চিরকাঙ্খিত পিপাসা গুলি
ক্লান্ত আলোর অতীত ভুলে
দুঃখিত স্তব্ধতা ছিন্ন করে
কুসুমের বুকে জেগে থেকে
সঞ্চারিত হয় আমাদের এই জীবনে,
যেখানে উদাসীন অজস্র হলুদ পাতা রৌদ্রে বয়ে যায়
বহু অভিজ্ঞতা নিয়ে
সকল ব্যর্থতা সফলতা ছুঁয়ে
এখানে এখন শব্দের গভীরে
কবিতার হৃদয়ের ছায়া ভাসে
প্রকৃতির প্রাকৃত প্রস্তাবে
ধুলো আর শুকনো পাতার মতো
মেধার শরীর অশ্রুগন্ধে জেগে থেকে
উড়ে যায় নিজ গর্বে রুক্ষ প্রান্তরে
একটি রৌদ্রময় সকালের জন্য
সেইপথ ধরে আজও
পবিত্র করতল হতে
ভালোবাসার ভেজানো মুকুল
আমাদের নিয়ে যায়
পরম প্রাপ্তির দিকে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem