হেমন্ত সন্ধ্যায় ছুঁয়ে গেলো নিস্পৃহ গোধূলি আলো
উড়ে এলে তুমি তীক্ষ্ম, এই স্থির মনে
আমি যে দেখেছি
শুকনো ফুলের ভাঙা পাপড়ি নেপথ্যে
খসে খসে ভেসে গেলো নির্নিমেষ, তুহিনের বুকে
আদি মেঘ শতধারে তোমাকে ছড়ালো
আমার গভীরে
অবিরল শান্ত কলরোল এইভাবে ভেঙে ভেঙে
এঁকে দিয়ে যায় সেই মুখ
হে আমার কবি, তুমি সেই প্রতিকৃতি
তুমি উপাসক
তুমি সত্য কবিতার সত্য দেশে
পাথর রক্তাক্ত করে তুমি তো দিয়েছো ঢেলে শিল্প
সমূহ ব্রহ্মান্ড এক বিন্দু হলো সূক্ষ্ম রক্ত ছাঁচের অন্তরে
ভেসে গেছে জলছবি নিজেকে ছাপিয়ে
মশাল জ্বালিয়ে মাংসে, অনেকেই চলে গেছে অতি সংগোপনে
শেষ রাতে অন্তর্ঘাত গিঁথে দিয়ে যায়
হৃদয়ের কোণে এক পবিত্র প্রবাস,
যেখানে প্রাকৃত রাত্রির সময়, ইতিহাস জাগিয়ে, যে বট বৃক্ষ পুঁতে ছিল মনে
বহু মাটি খুঁড়ে,
মহাকাল তার অনুভবের নিঃসীম গর্ভে তাঁকে
জন্ম দিল বহু ভালোবেসে
তুমি এলে; এইভাবে আমাকে জাগালো অবিরল শান্ত কলরোল
প্রকৃত বিলীন হতে হতে
নিস্পৃহ প্রবাস পুড়ে যায় একদিন
হেমন্ত সন্ধ্যায়
শুকনো ফুলের পাপড়ি নেপথ্যে জেগে
আমাকে জাগায়
25/03/2021
4: 10AM
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem