স্বচ্ছ ফুটে ওঠে সেই চোখ
অতিপরিচিত অন্ধকার
কল্পনার থেকে
আরো কত দূরে
মৃদু বিজুরীর মতো জ্বলে
আবিশ্ব নক্ষত্রপ্রত্যাশা অন্তরে জাগে
উপত্যকা বেয়ে নেমে আসে গোধুলীর বুনোমেঘ
পার্থিব বিষাদে
তোমাকে কাঙ্গালী মন খোঁজে
নীলকণ্ঠী দেশে জন্মফুল উড়ে যায়
সেখানে আমার বিগত শেকড় কাঁদে
ঘনশূন্যতার
গভীরে মিলিয়ে গেছে অর্থহীন সফলতা জয়পরাজয়
মরশুমী পরিযায়ী পাখিদের বুকে
আশ্রয় চেয়েছি ক্ষণজন্মা মূক জলবৃত্তের ভেতরে থেকে
ঘোর জলভাঙা সূর্যাস্ত- শ্মশানবন্ধু সকলেই ফিরে যায়
দেহাতি অচল নদীপারে কিছু কালো পোড়াকাঠ
নির্ভেজাল ঘুমে শুয়ে আছে
কৃষ্ণাষ্টমী রাতে যুবক সন্ন্যাসী আসে
স্বচ্ছ ফুটে ওঠে তাঁর চোখ
অতিপরিচিত অন্ধকারে
মৃদু বিজুরীর মতো জ্বলে
এঁকে বেঁকে উড়ে যায় অকূল বালির নিস্তব্ধতা
আবিশ্ব প্রশান্ত নক্ষত্রের রাঙাপায়ে চুমু খায় শ্মশানের কৃষ্ণকাঠ
মাটির জরায়ু ঠেলে আদিবিশ্বে আমার আবার জন্ম হয়
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem