কিছু বছর পর হাড় হিম করা কোন এক অজানা বিশৃঙ্খল গ্রীষ্মের দুপুরে হঠাৎ করে বোধহয় কেমন এক অসম্পূর্ণ চিঠি তার হাতে এল.......
চিঠির প্রারম্ভে প্রেরক লিখেছেন সেই বিখ্যাত কবিতার কালজয়ী অংশ -
' বিংশ শতাব্দীতে,
মানুষের শোকের আয়ু
বড়জোর এক বছর। '
এরপর অতীতের কয়েকটা ফ্যাকাশে আর ঝাপসা পাতার পর অস্পট ভাষায় অন্তিমলগ্নে কয়েকটা লেখা.......
আমরা কোনোদিন ভবিষ্যতকে দেখতে পাইনি - যা সব দেখেছি সবই মনের ভয় - ভবিষ্যতকে বুঝতেও পারিনি আমরা - যা বুঝেছি তা শুধুমাত্র বাস্তবকে এড়িয়ে যাওয়ার ভাবনা - অতীত ঐতিহ্য সপ্নাতীত, তাই তার খেঁয়ালও মস্তিকে সর্বদাই জট পাকানো অবস্থায় - সেদিনের সিঁড়িগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল - নয়তোবা তৎকালীন বর্তমান ছিল হ্যাতড়ে হ্যাতড়ে খোঁজা নদীগর্ভে পতিত বস্তুর মতো খানিকটা - যদি আমরা ভবিষ্যতকে দেখতে পেতাম আর পারতাম পড়তে আমরা নিশ্চিত বাস্তবের ক্ষুদ্র কণা হতাম - যদি আমরা ভবিষ্যতকে গড়তে পারতাম আর এক অক্ষর থেকে আর এক আলোকবর্ষ দূরত্ব লিখতাম আমরা তবে বিস্মৃত গল্প আর স্বপ্ন হতাম না - তারা তো জানিয়েই দিয়েছিল স্বপ্ন থেকে বাস্তব অনেক মধুর.......
তবুও তো তারা দেখেছিল স্বপ্ন
সুন্দর থেকে সুন্দরতম স্বপ্ন
তবুও তারা চেয়েছিল বলতে
মধুর থেকে মধুরতম কথা
তবুও তারা চেয়েছিল ছুঁতে
গভীর থেকে গভীরতম অনুভূতি
তবুও তারা কেবলই দীর্ঘশ্বাস
কালো নক্ষত্রভরা আকাশ
এক দিগন্ত থেকে ওপর দিগন্তে প্রবাহিত ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem