শব্দ আসেনা তেমন আর,
হিজিবিজি এলোমেলো চিন্তাগুলো
মনে হয় বলাকা হয়েছে,
তপ্ত দুপুর আর একলা একান্তে
নীরবতার প্রীতি আজ বুঝি গেছে মুছে,
অলস মস্তিস্ক ভাবতে চায়,
কিন্তু কে যেন টেনে ধরে লাগামখানা।
সেদিন রাতেও বসেছিনু তোমার অপেক্ষায়
শব্দ তোমার অপেক্ষায়, না এল না,
কেবল ঘড়ির টিক টক, আর
জানালা খোলার তীক্ষ্ণতা ছাড়া,
ওই দূরে গোল চাঁদ, পূর্ণিমার রুটি,
একটা তারাও খসলো আকাশ বুকে,
ঝলকে বুজে আঁখি দেখলাম মৃত্যু!
শব্দ, ভাবনা, ভাষা আর প্রকৃতি প্রেম
সব মিথ্যা; আর খোলা ইতিহাস বই
হাতছানি দেয় সেই শাহাজান প্রেমকে,
কিংবা কেমন করে মীরজাফর হতে হয়,
কিংবা সেই শিবাজী বা মালিক কাফুর,
এই বুঝি আমি চলেছি সবরমতি আশ্রমে,
গান্ধীজি বুঝি এসে গেল সমুদ্দুর তীরে।
না সে আসেনি, শব্দ আসেনি আজ
স্থির পাড়া পরে আছে নিদ্রার জাদুঘরে,
মুক্তি মিলেছে আজ কয়েক ঘন্টার,
বেহিসাবি একলা মন তখন খুঁজছে তাকে,
শব্দহারা নিশ্চুপ সাদা পাতায় আঁকা হয়নি,
মনে হয় লিখি হিজিবিজি হিল্লোল পাগলামি,
বেড়ে যাক হিসাব খাতায় এক যোগ হয়ে।
স্মার্টফোনে বেজে উঠে নটী-ফিকশন ধ্বনি,
ঘুমন্ত চোঁখ ঘুমের ঘোরে শোনে কোন জয়ধ্বনি,
বুঝি জিতেছে কেউ, না কি হারিয়েছে কোনো মা,
ভ্যালেনটাইন হুল্লোল, না কি রক্তাক্ত ভালোবাসা?
না, এই ঘুমে শব্দ আসে না আর, শুনি হাহাকার,
শুনি গৌরব ধ্বনি আর শপথের ব্যাপক কোলাহল।
না সে আজ আসেনি, শব্দ আজও আসেনি!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem