লে পচা, ঘাসে গামছা বিছা। তুই এক ছিলিম, আর আমি এক ছিলিম। ব্যাস, আমরা গাঁজা টেনে, দিনের আকাশে তারা গুনবো। দিনকাল যা পড়েছে আজকাল, গাঁজা ছাড়া আর ভদ্দর থাকা যাবে না।
চোরের বেটা, সেও লোকসমক্ষে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলে- "ছাল খুলে নেবো আপনার"! কি দিনকাল পড়লো মাইরি! আর এক ছিলিম দে পচা। ভারতবর্ষের তামাশা দেখে, মাথা আর ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
চোর। হাইকোর্ট দ্বারা সাজা প্রাপ্ত চোর। দেশের জনগণের কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে। এখন সে জেলে আছে। তবুও জনগণের পয়সায় তার Z+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা চাই। দেশের সরকার সেই নিরাপত্তা কমিয়ে Z ক্যাটিগরি করেছে, তাতেই চোরের বেটার ধমক। জনগণের পয়সায়- চোরকে, পুষতে হবে। শুধু পুষতে হবে নয়; সেই চোরকে, দেশের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তাও দিতে হবে।
এরপর দাউদ ইব্রাহিম একদিন মামলা ঠুকে বলবে- যেহেতু বোম্বে বিস্ফোরণে সে হাজার লোককে খুন করেছে, তাকেওতাইZ+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা হবে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা একদিন মিডিয়ার সামনে বলবে- তারা যেহেতু শিশু নারী হত্যা করে, তাদেরকেও তাইZ+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিতে হবে। পচা চল, আমরাও কোদাল গাঁইতি নিয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সিঁধ কেটে আসি। তারপর সুপ্রিম কেটে মামলা ঠুকে বলি- আমাদেরকেওZ+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিতে হবে। মিডিয়ার সামনে বললেই হলো! মিডিয়া তারপর আড়ে লাফাবে!
ওহে বিন্দির মা, যাবে নাকি হে? আমি আর পচা, মুকেশের বাড়িতে সিঁধ কাটতে যাচ্ছি। তুমিওতাহলেZ+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পাবে। যে যত বড় অপরাধী, জনগণের পয়সায়, তার তত বড় নিরাপত্তা। মুখের কথা নাকি হে? খুনী আর দাগী চোর বলে কথা!
ওহে বিন্দির মা, মানুষ খুন করতে পারো তুমি? ছুরি কাঁচি খুন্তি- ইত্যাদি কিছু একটা দিয়ে মানুষ খুন করলেই হবে। খুন করতে পারলে, আরো বড় নিরাপত্তা পাবে! আর মিডিয়া, ঘন ঘন তোমার পাউডার মাখা মুখ আর ফোকলা দাঁতের হাসি দেখাবে।
অদ্ভুত তোমার দেশ, নগেন মাস্টার! যারা ভারত ভাগ করলো, তারা জাতির জনক। যে মানুষটা দেশের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলো, সে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। আর ভারতবর্ষ, চিরদিনের হয়ে গেলো সেই ব্যক্তির বংশধরদের, ব্যক্তিগত জমিদারি! অথচ যে মানুষটা দেশের জন্য জীবন যৌবন সংসার সব ত্যাগ করলো, সেহয়ে গেলো উগ্রপন্থী! পচা, আরেক ছিলিম দে বাপ! এ সব ভাবলেই, নেশাটা আমার ঘন ঘন চটকে যায়।
কে যায়? কে যায় ওখানে? আরে নবীন মুখুজ্জ্যে যে! তুমি শালা হেবি সেজেছো মাইরি! কোথায় চললে? চাঁটতে? আজ আবার কার চাঁটবে বাপ? তোমার পূর্ব পুরুষ নাকি এ দেশের ইতিহাস লিখেছিলো? গাঁজা টেনে লিখেছিলো? অথবা চোলাই মাল খেয়ে লিখেছিলো?সে কি মাতাল হয়ে চেঁটেছিলো? অথবা সজ্ঞানে চেঁটেছিলো? তোমার দাদু কখনো গল্প করেছে- রাজার পশ্চাৎদেশে তখন কত ইঞ্চি বিষ্ঠা ছিলো? তুমি আর তোমার চৌদ্দ পুরুষ, কেবল চেঁটে চেঁটেই জমিদার হয়ে গেলে যে!
ওহে পেন্তীর মা, মুখ গোমড়া কেন তোমার? একটু হাসতে পারো না? এতো দুঃখ কিসের? মুখ্যমন্ত্রী হতে চাও? তাহলে চলো, নন্দীগ্রামে কিছু মানুষ খুন করে আসি। আর মা সরদার বাড়িতে গিয়ে, তার চুরি করা টাকাতে ভাগ বসিয়ে আসি! মানুষ মারলেই মুখ্যমন্ত্রী! মানুষকে নিঃস্ব করে, তাকে ভিক্ষা দিলেই দেশের জনপ্রিয় নেতা! বগল বাজাতে বাজাতে, মানুষের রক্ত চেঁটে পুঁটে না খেলে, বড় নেতা হবে কি করে? যার যত বেশি ধারালো দাঁত, সে তত বড় নেতা! বীরভূম জেলার কল্কিকে দেখে শিখতে পারো না? যার পকেটে বোমা, জনগণ ধরে তার পিছনে ধামা!
দেখ তো পচা, কে যায় ওপারে?হারামজাদা বটু বলে মনে হচ্ছে।এতো তাড়া কেন ওর? ওহঃ মনে পড়েছে! ব্যাটা "আচ্ছে" দিনের আশায় ব্যাঙ্কে একাউন্ট খুলতে যাচ্ছে! বটু... এই হারামজাদা বটু, বলি-"আচ্ছে" দিন তোর এসেছে?
কি বললি? আসে নি? এখনো আসে নি? কেন? বিজয় মালিয়ার"আচ্ছে" দিন এলো, নীরব মোদীর "আচ্ছে" দিন এলো, বিক্রম কোঠারির"আচ্ছে" দিন এলো; তোর এলো না কেন? তুই শালা পাক্কা এক ভোঁদড়, চাঁটতে এখনো শিখিস নি।
পচা, স্কুলে তুই চাঁটতে শিখেছিস? শিখিস নি? কক্ষনো শিখিস নি? স্কুলে শেখায় নি? সে কি রে! এতো বড় মহৎ এক গুণ, আর স্কুল তা শেখায় না? চল আমরা তাহলে একটা "চাঁটাচাঁটির স্কুল" খুলি। ঊহঃ ভাবতে পারছি না, কত টাকা হবে আমাদের! ব্যবসা আমাদের ফুলে ফেঁপে কলা গাছের জঙ্গল হয়ে যাবে! জানিস পচা? আমরা ছাত্রদেরকে কেবল পশ্চাৎদেশ চাঁটা শেখাবো। পা চাঁটা তত বেশি রোমাঞ্চকর নয়। একটা ফেতি কুত্তার পশ্চাৎদেশে, তুই গন্ধময় বিষ্ঠা তুলে ধরবি।আর আমি পিছন থেকে ছাত্রদের ঘাড় ধরে, পশ্চাৎদেশের সেই বিষ্ঠা চাঁটাবো।
পচা রে, ভাবতে পারছি না! কত কত টাকা হবে আমাদের!
© অরুণ মাজী
painting: Pablo Picasso
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
ভালো লিখেছেন,