বাঙালীর বয়স চল্লিশ হয়ে গেলে
"প্রেম" নামে লজ্জাবতী নারীর
"সবেধন নীলমনি একটা মাত্র ব্লাউজের"
সামনের বোতাম ছিঁড়ে যায়।
লজ্জার ভয়ে
দিনরাত ঘরের কোণে লুকিয়ে থাকে সে।
সূর্যের মুখ দর্শন তার মানা;
মানা তার-
খেয়া পেরিয়ে ওপারে একটু যাওয়া,
বা দুরন্ত শিশুর মতো বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে
ভোঁ ভোঁ আওয়াজ করে এপাড়া ওপাড়া বেড়ানো।
অথচ চল্লিশ কোন বয়স নয়।
মনে হয় ক দিন আগেই তো
মায়ের কোলে চড়ে
তুলসী তলায় হাতে খড়ি হয়েছিলো আমার!
কালাপানি পেরিয়ে
ম্লেচ্ছদের দেশে এলে দেখতে পাই-
এখানকার আশি বছরের এক তরুণ
রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে
ঊনআশি বছরের এক তরুণীর
ঠোঁট দুটো চেঁটেপুঁটে খাচ্ছে।
ম্লেচ্ছরা অসভ্য বলই
আমৃত্যু তারা তরুণ থাকতে পারে।
বাঙালীরা ভাবে
তারা একাই কেবল অমৃত সন্তান!
আর অমৃত সন্তানদের নাকি
প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া মানা!
বাঙালী রমণী তার দেহের মধ্যভাগে
প্রাচুর্য্যের উঁচু অহঙ্কার এঁকেই খুশি।
আর বাঙালী পুরুষ
সকালে, চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে
খবর পড়ে। গোঁফে তা দেয়।
আর মাঝে মাঝে কাগজের বিজ্ঞাপনে দৃশ্যমান
অর্ধনগ্ন নারীর নাভি দেশে উঁকি মারে।
তবুও বাঙালীর প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া মানা।
চল্লিশ ছুঁয়ে ফেললেই
বাঙালী তার বৌয়ের হাত ধরতে ভুলে যায়!
হাত ধরার কথা বললে
মালবিকার ফর্সা গাল কেমন রাঙা হয়ে যায়!
ফিসফিস করে সে বলে-
"কেমন পুরুষ মানুষ তুমি? কেউ দেখে ফেললে?
এ জন্যই তোমার সঙ্গে কখনো বেরোই না! "
মালবিকা জানে না
পৌরুষত্ব আমার জীবিত আছে বলেই
তারা রাঙা গাল দুটো
জনসমক্ষেও
এখনো চেঁটে খেতে ইচ্ছে করে আমার!
চল্লিশেই,
বাঙালী পচা দেওয়ালে গজিয়ে উঠা
ছত্রাক বা শ্যাওলার মতো বাঁচে।
তবুও সে যৌবন উদ্দীপ্ত
তরুণ থাকার পাপ কখনো করবে না।
ইশঃ স্বর্গের দরজা তাতে যদি বন্ধ হয়ে যায়!
পৃথিবীর আর কেউ পায় না।
কিন্তু বাঙালী
প্রতি রাতে, নরকের ঠিকানা থেকে
তারা পূর্ব্বপুরুষদের টেলিফোন পায়।
কি কথা হয়, তা কেবল বাঙালীই জানে।
আমি জানি না।
এজন্যই আমি হিঁজড়া বাঙালী।
মানে- আমি বাঙালী অথচ বাঙালী নই।
আমি পৃথিবীর বাইরের
কোন নরকে বিশ্বাস করি না।
চুলে পাক ধরলেও এখনো আমার
বাঁদরের বগলে কাতুকুতু দিতে ইচ্ছে করে।
ফড়িং লেজে দূর্বা বেঁধে ঘুড়ি উড়াতে ইচ্ছে করে।
মালবিকার ঠাম্মার পান খাওয়া গালে
রাঙা রাঙা চুমু দিতে ইচ্ছে করে।
তাবলে তোমরা ভেবো না
তোমাদেরকে আমি, আমার মতো
নষ্ট একটা হিঁজড়া হওয়ার আমন্ত্রণ করছি।
তোমরা বরং সারাজীবন ধরে
নরকের সাথে বাক্যালাপ করতে থাকো।
আর দেখতে থাকো
জীবনটা কেমন দন্ত বিকশিত করে
তোমাদেরকে ভেংচি কেটে চলে যায়!
© অরুণ মাজী
Chumoto 100 years er torunkeo khaoa jete parego kintu seta hote hobe tomar bhashay oi chatni thot
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Osadharan, ei nie apnar lekha duto porlam, Mon chaiche aro pori.