জীবনের কাছে চাইলে তুমি কাঁচকলা। কিন্তু পেলে তুমি কাঁঠাল। এদিকে তুমি কৈমাছ দিয়ে কাঁচকলার ঝোল বানানোর জন্য, উনুন জ্বেলে, মশলা বেটে তৈরী। তুমি বুকফাটা কান্না কাঁদবে, তাই না?
জীবনের চেয়ে বড় হারামজাদা আর কেউ নেই। জীবন, অরুণ মাজীর চেয়ে দুকাঠি বড় হারামজাদা। জীবন তোমার সঙ্গে সর্ব্বদা কানামাছি খেলবে। তুমি না চাইলেও, সে কানামাছি খেলবে। তুমি চাইবে মালবিকার রাঙা ঠোঁট। কিন্তু পাবে তুমি মালবিকার ঠাম্মার পান খাওয়া গাল। তো তখন তুমি কি করবে?
জীবন যা দেয়, তোমাকে, তা দিয়েই উৎসব করতে হবে। মালবিকার রাঙা ঠোঁট পেলে না তো কি? মালবিকার ঠাম্মার পান খাওয়া গালে চুমু দাও। কাঁচকলার ঝোল হলো না তো কি? কব্জি ডুবিয়ে এঁচড়ের ঝোল খাও।
চরিত্রে যত বেশি গোঁয়ার আর জেদী হবে তুমি, তত বেশি যন্ত্রণায় কাতরে কাতরে মরবে তুমি। চরিত্রে নমনীয় হও। জীবনে যা কিছু পাও, তাকেই তুমি হাসি মুখে গ্রহণ করো। তারপর শান্ত মাথায়, সৃষ্টিমূলক কল্পনা প্রয়োগ করে, তা থেকেই তুমি ভালো কিছু তৈরী করো। মালবিকার ঠাম্মার পান খাওয়া গালে, তেঁতুলের চাটনি মেখে চুমু খাও তুমি। সেই চুমু টক ঝাল মিষ্টি বা রোমাঞ্চকর হবেই হবে। ভালো থেকো তোমরা। ডাঃ অরুণ মাজী
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem