এক পা এগোলে মৃত্যু।
অথচ তার ওপারে যে সবুজ ঘাস
তার 'পর এলোচুলে বসে আছো-
চোখে মৃত্যু আঁকা তুমি।
তবুও জানি। তুমি মৃত্যুর কেউ নয়।
পৃথিবীর কোন নারীই
মৃত্যুর মাসতুতো বা পিসতুতো কেউ নয়।
তবুও কেন জানি না
মৃত্যু তোমাকে হিংসে করে।
মৃত্যু এতো সত্য, এতো শৃঙ্খলাপরায়ণ,
তবুও মৃত্যুর বুকে কেউ
আপন ইচ্ছেয় মরে না।
অথচ তুমি? নগ্ন কোমলতার তুমি?
যদিও নাভি আর নিতম্বের মাঝে
একরাশ মৃত্যু এঁকে বসে আছো তুমি;
তবুও আঠারো থেকে আশি বয়সের
সহস্র পুরুষ চির অপেক্ষমান-
তোমার মৃত্যু গহবরে ঝাঁপ দেবে বলে।
এক পা এগোলে মৃত্যু।
অথচ তার ওপারে যে স্বপ্নময় দেশ-
সেখানে অন্তর্বাসের বাঁধন খুলে
আয়নায় নিজেকে দেখছো তুমি।
কি মাপছো তুমি?
চিতার কাঠগুলো কত উঁচু হলো?
আগুনটা গনগনে হয়েছে কি না?
মাপতে তোমায় হবে না।
ঊনিশ বয়েসেই ঊনিশ লক্ষ পুরুষকে
এক ফুৎকারে ছাই করতে পারো তুমি।
কিন্তু সে সুযোগ তোমায় দেবো না নারী
সে সুযোগ তোমায় দেবো না।
পার্থিব জগতের মৃত্যুকে একলাফে ডিঙিয়ে
আমি, হ্যাঁ হ্যাঁ
কেবল আমি একাই ঝাঁপাবো
তোমার মৃত্যু গহবরে।
তোমার নাভিদেশ আর নিতম্বের মাঝে যে মৃত্যু
সে কেবল আমার। আমার একার।
তোমার গোপন গহবরে যে মৃত্যু আঁকা
তার ভাগ
দেবতাকেও দেবো না আমি।
© অরুণ মাজী
Painting: Eugene De Blaas
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem