প্রশ্ন ১.
যে লেভেলের বুদ্ধি নিয়ে তুমি কোন সমস্যা সৃষ্টি করেছো, সেই একই লেভেলের বুদ্ধি দিয়ে তুমি সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। তাই যদি সম্ভব হতো, তাহলে সেই সমস্যাটা আদৌ তৈরী হতো কি?
প্রশ্ন ২.
মানুষ- কিছু কিছু সমস্যার সমাধান, হাজার হাজার বছর ধরে কোন এক নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে করে এসেছে। তবুও কিন্তু মানুষের সেই সমস্যা রয়ে গেছে। বা সেই সমস্যা আরও গাঢ় হয়ে গেছে। তার অর্থ এই নয় কি- যে মানুষকে তার সমস্যা সমাধানের পথ বদলাতে হবে?
মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে ভদ্র হতে চেষ্টাকরেছে। তবুও পৃথিবীতে এতো হিংসা কেন? হানাহানি কেন? ধর্ষণ কেন? তহবিল তছরুপ কেন? চুরি কেন? ডাকাতি কেন?
কারা দেশকে নিঃস্ব সর্ব্বশান্ত করছে? ছিঁচকে চোর ডাকাত, অথবা ভদ্র সেজে থাকা সমাজের উঁচু স্তরের মানুষেরা? কারা রাজনৈতিক সংঘৰ্ষ বাঁধাচ্ছে? কারা ধর্ম ভিত্তিক যুদ্ধ বাঁধাচ্ছে? কারা এক দেশের বিরুদ্ধে অন্য দেশকে যুদ্ধে প্ররোচিত করছে? মুখ্যু অসভ্য বর্বর জনগণ, অথবা ভদ্রলোক? এর সবেরই উত্তর- "ভদ্রলোক"। পৃথিবীতে যত সমস্যা আছে, সবই তৈরী বা পালন হচ্ছে ভদ্রলোকের দ্বারা।
এবার বলো- তবুও কেন তুমি, তোমার সন্তানকে ভদ্রলোক হতে বলো? আমার লেখায় রূঢ় ভাষা থাকলে, তোমার কেন আমাকে বলো- "দাদা, লেখাটা একটু ভদ্র ভাষায় হলে, আরও ভালো হতো" ? কেন তোমরা বলো? আমি ভদ্র হলে, পৃথিবী ভদ্র হবে; তার কোন প্রমাণ আছে? তবে বাস্তবে, তার উল্টোটা সত্য কেন?
ভদ্র হতে গিয়ে মানুষ পৃথিবীতে আরও ধ্বংস এনেছে, হিংসা এনেছে, রাহাজানি এনেছে, চুরি এনেছে,ডাকাতি এনেছে। তবুও তোমরা কেন আমাকে ভদ্র হতে বলো? কেন? তোমরা কি মস্তিস্কহীন কৃমি? অথবা কৃমির বিষ্ঠা?
তোমরা আমাকে তা বলো, তার কারন- তুমি আর তোমার হাজার হাজার পূর্বপুরুষ, সবাই তোমরা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে এসেছো যে- "ভদ্রতার সাধনা করলে, মানুষ ভদ্র হয়ে যাবে।" কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে কি? হয় নি। তার উদাহরণ তোমাদেরকে আমি শুরুতেই দিয়েছি।
এবার- আমার প্রশ্ন ১ আর ২কে, আবার তোমরা পড়ো। পড়ার পর, তোমাদের কি মনে হচ্ছে? যে পৃথিবীকে সুন্দর করতে গেলে, মানুষকে তাহলে ভদ্র সাজার পথ ত্যাগ করতে হবে!
এই হলো আমার দাওয়াই-
মানুষকে এবার স্বর্ব্বান্তঃকরণে "অভদ্র" হতে হবে। কেমন অভদ্র?মানুষকে উলঙ্গ হয়ে পথ হাঁটতে হাঁটবে। যখন তখন খিস্তি খেউর করতে হবে। ভদ্রতার কারনে এতদিন তুমি, কারও কাঁছা ধরে টানো নি, এবার তোমাকে তাই করতে হবে।
শ্লীলতার সাধনা করে, আমরা অশ্লীল ধর্ষক খুনী হয়েছি।
ভদ্রতার সাধনা করে, আমরা চোর ছ্যাঁচ্চোর বাটপার হয়েছি।
ধর্মের সাধনা করে, আমরা ভন্ড ইতর হয়েছি।
এই সত্য কি প্রমাণ করে না, যে আমাদেরকে এবার পথ বদলাতে হবে?
আমার দেওয়া সমাধান হলো-
এবার তোমরা অশ্লীলতার সাধনা করো, দেখবে শ্লীলতা ফিরে পাবে।
এবার তোমরা ইতরগিরির সাধনা করো, দেখবে ভদ্রতা ফিরে পাবে।
ফুল সারাজীবন উলঙ্গ থেকে ফুল রয়ে গেছে। নদী সারাজীবন উলঙ্গ থেকে নদী রয়ে গেছে। মানুষ কেবল, ভদ্রতার আবরণে নিজেকে ঢাকতে গিয়ে আরও বেশি অসভ্য বর্বর জন্তু হয়ে গেছে! কেন? যেই মুহূর্তে মানুষ ভদ্রতা আর শ্লীলতার আবরণ পেলো, সেই মুহূর্তেই মানুষ ঘোমটার নীচে খ্যামটা নাচ শুরু করে দিলো। সেই মুহূর্তেই মানুষ- তার রক্ত মাখা হাত, আলখাল্লা বা রাম নামাবলীর আবরণে ঢাকতে শুরু করলো। তার চৌর্যবৃত্তি, সুন্দর পোশাক আর পাউডার মাখা মুখের আবরণে ঢাকতে শুরু করলো।
মানুষের সেই আবরণ কেড়ে নাও, দেখবে- মানুষ আবার সত্যিকারের সততা আর ধর্মের পথে ফিরে গেছে। আমি পৃথিবীর সমস্ত পন্ডিত আর দর্শনিকদেরকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- তোমরা আমার এই লেখাকে, যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করো।
যারা আমার পথে হেঁটে, আমার নতুন পথ পরখ করতে চাও, তারা আমার সঙ্গে গাও-
বুঝলি জগাই, বুঝলি মাধাই
এবার আমি ক্যাওড়া হবো।
মাতাল হয়ে ডিগবাজি দেবো
উলঙ্গ হয়ে ভ্রমণে যাবো
বেহেট হয়ে খিস্তি করবো।
এবার আমি ক্যাওড়া হবো।
আড়ালে নয় ভাই আড়ালে নয়।
তোদের নাকের ডগায়
এবার আমি ক্যাওড়া হবো।
কাঁছা খুলে গৌরাঙ্গ নাচবো
লুঙ্গি খুলে ভেংচি কাটবো
মাতাল হয়ে সাধনা করবো।
বুঝলে নগেন মাস্টার
এবার আমি উলঙ্গ হবো।
বুঝলে পেন্তীর মা
এবার আমি ক্যাওড়া হবো।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem