মানুষকে শ্রদ্ধা করো। কিন্তু তার কথাকে নয়।
জীবনে যদি কোন কিছুর প্রকৃত রূপ জানতে হয়, তাহলে তোমাকে তা- নিজের চোখে দেখতে হবে, নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। যে যাই বলুক না কেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। সে কথা যদি স্বয়ং বিবেকানন্দ বা তোমার ধর্মগুরু বা স্বয়ং ঈশ্বরও তোমার কানে কানে বলেন, তবুও তাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। তবেই তুমি কোন কিছুর প্রকৃত রূপ জানতে পারবে।
তোমার চোখে দেখা ঘটনা, আর লোকের মুখ থেকে শোনা ঘটনা- কখনোই এক হতে পারে না। প্রমাণ চাও? ধরো, আজই তোমার বন্ধু বা আত্মীয়, তোমাকে কোন ঘটনা বলেছে। সেটা তুমি লিখে রাখো। এবার সেই ঘটনা তুমি নিজে চোখে দেখে এসো।
কি দেখবে? দেখবে- তোমার শোনা ঘটনা, আর তোমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা- দুটো অনেক আলাদা।
তোমরা যারা আমার লেখা নিয়মিত পড়ো, তারা জানো- আমি বারবার বলি, আমার কথাকে তোমরা সত্য বলে কখনো গ্রহণ করো না। তবুও আমি সে সব কথা বলি কেন? কারন- আমি কেবল তোমাদের মস্তিস্ককে খুঁচিয়ে দিতে চাই। আমি তোমাদের আলস্য জর্জরিত মস্তিষ্কে একটু আগুন লাগিয়ে দিতে চাই। যাতে তোমরা নিজেরা সে সব জিনিস নিয়ে, "তোমাদের মতো করে ভাবো"।
ঈশ্বর তোমাকে খুলির মধ্যে ঘিলু দিয়েছেন, কিন্তু খুলির মধ্যে টেপ রেকর্ডার দেন নি। কেন? কারন- ঘিলুর মধ্যে থাকা স্নায়ুর কাজ হলো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে তোমাকে চিন্তা করতে সাহায্য করা। একটা টেপ রেকর্ডার কি নিজে নিজে চিন্তা করতে পারে? পারে না। সে কেবল অন্যের কথা রেকর্ড করতে পারে। আর অন্যের বুলি বাজাতে পারে।
মানুষ হও। বিষ্ঠার মতো মস্তিস্কহীন জড় পদার্থ হইও না। যারা তোতাপাখির মতো অন্যের শিখিয়ে দেওয়া বুলি আওড়ায়, তার মূত্র বা বিষ্ঠা অপেক্ষা এক ইঞ্চিও উত্তম নয়। মস্তিস্ক থেকেও মস্তিষ্কের ব্যবহার না করা, জড় সদৃশ বিষ্ঠাবুদ্ধি নয় কি?
© অরুণ মাজী
Painting: Andrew Atroshenko
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem