সুলতানুল আরেফীন বায়েজিদ বুস্তামী (রহঃ)-এর যুগে
বোস্তাম শহরে এক বেশ্যা মেয়ের আগমণ ঘটে
যার সৌর্ন্দয ও সুন্দর কন্ঠের উপর মানুষ আশেক হয়ে গেল
মসজিদ ও খানকাহ সমূহ শূন্য হয়ে গেল
বেশ্যার ঘরে তামাশাবাজদের সব সময় মেলা লেগে থাকত
কোন এক ব্যক্তি সুলতানুল আরেফীন এর বরকতময় খেদমতে উপস্থিত হয়ে
আরজ করল যে, হুজুর আপনার যুগে আপনার শহরে এমন পাপাচার!
হুজুর বললেন, কি ব্যাপার?
ঐ ব্যক্তি সমস্ত ঘটনা আরজ করলে হুজুর বললেন
আমাকে ঐ বেশ্যার ঠিকানা বল।
তিনি নামাজের মুসল্লা ও বদনা নিয়ে তার ঘরের নিকট পৌছে গেলেন
সকল তামাশাবাজ তাঁকে দেখে পালিয়ে গেল।
তিনি ঐ বেশ্যার দরজায় গিয়ে মুসল্লা বিছিয়ে দিলেন
এবং নফল নামাজ পড়তে আরম্ভ করে দিলেন।
যে ব্যক্তি এদিকে আসত, তাকে দেখে ফিরে যেত।
এভাবে রাতের অধিকাংশ সময় চলে গেল আর কেউ আসার আশংকা রইল না।
তখন তিনি ঐ বেশ্যাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, দৈনিক তোমার রোজগার কত হয়?
বেশ্যা মহিলা যত বলল, তিনি তত মুদ্রা মুসল্লার নীচ থেকে বের করে দিয়ে দিলেন।
অতঃপর, তিনি তাকে বললেন যে,
এখন তোমার এ রাত আমি ক্রয় করে নিয়েছি।
কেননা, তোমার প্রাপ্য আমি তোমাকে দিয়ে দিয়েছি।
সে বলল, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।
তৎপর হুজুর বললেন আচ্ছা এখন আমি যা বলব, তুমি তাই কর।
সে বলল, ঠিক আছে।
তিনি বললেন ওযু করে দু'রাকাতের নফল নামাজের নিয়ত কর।
তাকে নামাজে দাড় করিয়ে দিলেন।
যতক্ষণ সে দাড়াঁনো অবস্থায় ছিল, বেশ্যা ছিল।
রুকুতে গেল- তখনও বেশ্যা ছিল
কিন্তু যখন সেজদায় গেল, তখন তার মস্তক সেজদায় অবনত হল আর সুলতানুল আরেফীন এর মোবারক হাত দোয়ার জন্য উত্তোলিত হল।
তিনি আল্লাহ তায়ালার দরবারে আরয করলেন,
"হে মাওলা! আপনি শক্তিবান, আমি দুর্বল আপনি প্রতিপালক আমি গোলাম ।
আমি দুর্বল, অক্ষম ও অসহায় আমার কাজ হল এতটুকু যে এই বেশ্যা মহিলাকে যেনা থেকে হটিয়ে আপনার দ্বারে দন্ডায়েমান করা।
সামনের অবশিষ্ট কাজ আপনার আপনি এ ঝুকানো মস্তককে কবুল করে নিন।
অতঃপর, তিনি আরয করলেন, যদি আপনি এ অবনত মস্তক কে ফিরিয়ে দেন তাহলে আমার দুর্নাম হয়ে যাবে যে, মানুষ বলবে সুলতানুল আরেফীন. এ বেশ্যা মহিলার দরজায় কেন এসেছিল।"
এটা দেখবেন না যে, আগমন কারী কে? মাওলা!
যদিওবা আগমন কারী একজন পাপীষ্ঠা কিন্তু আনয়ন কারীতো আমি গুনাহগার।
তাই ঐ সবুজ গুম্বজওয়ালা, কাল জুলফিধারী মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর অসীলায় তাঁর অন্তরের গতি পরিবর্তন করে দিন আপনি।
একথা বলতেই ঐ পাপীষ্ঠ বেশ্যা মহিলাকে আল্লাহ পাক ওলীর মর্যাদা দান করলে।
অতঃপর পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গিরা যখন তাকে ডাকতো তখন সে ভিতর থেকে খবর পাঠাতো যে,
এখন আমি এ চক্ষে সুলতানুল আরেফীন কে দেখেছি,
যে সুলতানুল আরেফীন কে দেখে ফেলেছে সে আর কাউকে দেখতে পারে না, আর কখনো পাপও করতে পারে না।
সূর্যের কিরণ সমূহ আতশী কাঁচের মাধ্যমে কোন কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করলে
ঐ কাপড় জ্বলে যায়।
যদি এ আতশী আয়না মধ্যখানেই না হয়,
তাহলে জ্বালা সৃষ্টি হবে না।
মদিনার সূর্য এর নূরানী কিরণ সমূহ
আপন পীরের আতশী কাচেঁর মাধ্যমে অন্তরে ঢেলে নাও,
যাতে জ্বালা ও বেদনার সঞ্চয় হয়।
এই অন্তরের বেদনা ঐ জিনিস যার কারণে মানুষ ফেরেস্তা থেকে উত্তম হয়েছে।
(collected story/ pic from Mashhad-i Bayazid Bastami | Exterior view of the complex, looking...Archnet Mashhad-i Bayazid Bastami | Exterior view of the complex, looking north | Archnet))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem