লোহাকে শক্ত বিশুদ্ধ আর নমনীয় হতে, তাকে যেমন কয়লার আগুনে পুড়তে হয়;
মানুষকেও শক্ত, বিশুদ্ধ আর নমনীয় হতে তাকে যন্ত্রণার আগুনে পুড়তে হয়।
ঈশ্বর কি তোমার শত্রু? ঈশ্বর যদি শত্রুই হবে, তবে রঙ মেখে সঙ সেজে তাকে পূজা করো কেন? এও কি তোমাদের ঘোমটার নীচে খ্যামটা নাচ নাকি? মুখে বলো- ঈশ্বর ঈশ্বর, অথচ ঈশ্বরের অভিপ্রায়কে তোমরা ঘৃণা করো! তুমি ছুঁচো না চৌকিদার?
আর ঈশ্বরকে যদি সর্ব্বজ্ঞ, সর্ব্বশক্তিশালী, সর্ব্বত্রবিরাজমান, সর্ব্বহিতৈষী মনে করো- তাহলে ঈশ্বরের দেওয়া যন্ত্রণাকে আলিঙ্গন করতে, তোমাদের এতো কুন্ঠা কেন? আঁধার না থাকলে, আতস বাজির রংধনু বুঝতে পারবে? দুঃখ না থাকলে, সুখের পরমানন্দ অনুভব করতে পারবে? যন্ত্রণা না থাকলে, নিরাময় কখনো অনুভব করতে পারবে?
মহাবিশ্বের অস্তিত্ব যতটা সত্য, যন্ত্রণার অস্তিত্ব ঠিক ততটাই সত্য। তোমার নিজের অস্তিত্ব যতটা সত্য, যন্ত্রণার অস্তিত্ব ঠিক ততটাই সত্য। মানুষের জীবনে, যন্ত্রণার এক মহৎ উদ্দেশ্য আছে। কি সেই মহৎ উদ্দেশ্য?
তোমাকে ইঁদুর বাচ্চা থেকে, সিংহ মানব তৈরী করা। তোমাকে সামান্য এক চৌকিদার থেকে, বীর বিবেকানন্দ বানানো। তুমি যদি শক্ত বাহু করতে চাও, তো কি করো? তুমি ২০ কেজি ওজন নিয়ে বাইসেপ্স কার্ল এক্সারসাইজ করো। তুমি তোমার বাহুকে নির্মম যন্ত্রণা দাও। তুমি যদি তোমার মন-কে শক্তিশালী করতে চাও, তো কি করবে? তোমার মনকে তুমি, মানসিক যন্ত্রণা দেবে। তবেই না তুমি সিংহ মানব হবে। আর তা যদি না পারো- তুমি আরশোলার ভয়ে, খাটের নীচে লুকোবে। বীর হও হে মানব, বীর হও।
যন্ত্রণাকে ভয় না পেয়ে, তাচ্ছিল্য করতে শেখো-
কোথায় রে তুই পাগলা খ্যাপা
নিয়ে আয় তুই বিষের লোটা;
নিয়ে আয় তোর বঁটি ঝাঁটা
দেখাবো তোরে, কে বাপের বেটা।
বিদ্যা বুদ্ধি খ্যাতি সন্মান- সবই ভস্মে ঘি ঢালা, যদি না তোমার কলিজায় তেজ থাকে। কোন যন্ত্রণার হিম্মৎ আছে, শালা অরুণ মাজীকে কাবু করে? হতচ্ছাড়ার আন্ডারপ্যান্টে কাঠ পিঁপড়ে ছেড়ে দেবো আমি। তোমরা আমার ভাই আর বোন- আমি চাই, তোমরা আমার চেয়ে এক গাঁট বেশি শক্ত হও। তোমরা যন্ত্রণার আন্ডারপ্যান্টে, বিষাক্ত কেউটে সাপ ছেড়ে দাও।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem