সেজে গুঁজে
আজন্ম বসে আছে দুঃখ।
অথচ প্রেমের পুষ্প হাতে
কোন প্রেমিক কখনো আসে না।
দুঃখের অভিমান ভরা দুঃখ এই যে-
ভালোবেসে
তাকে কাছে কেউ ডাকে না।
অথচ পাঁকে পড়লে মানুষ
কলা চপা খায়।
দুঃখ রানীর নগ্ন বুকে মাথা রেখে
মানুষকে
আমৃত্যু জীবন কাটাতে হয়।
তবুও দুঃখ রানীকে
ভালো কেউ বাসে না।
বাসে না গো বাসে না
পরমা সুন্দরী দুঃখরানীকে
ভালো কেউ বাসে না।
কাঠফাটা গ্রীষ্মে
আমাদের চাঁপা রানী
মালবিকার দিকে চেয়ে চেয়ে মরে গেলো।
অথচ শ্রীমতী সুখের স্বপ্নে
এতোটাই বিভোর মালবিকা
বুকে তার
করুণা একটু জাগলো না।
মালবিকা একাই বা কেন?
আমিও কি আর কম হারামজাদা?
সুখ রানীকে স্বপ্নে দেখবো বলে
সকালে উঠেই
সাত ছিলিম তামাক টানি আমি।
তবুও
চাঁপা রানীকে কখনো দেখি না।
সুখের আকাশে চোখ রেখে
হন হন করে হাঁটছে মানুষ।
তবুও
সুখ রানীর আকর্ণ বিস্তৃত ভেংচি ছাড়া
ভাগ্যে কিছু জোটে না।
পেন্তীর মা কাঁদছে।
অথচ পড়শী নগেন মাস্টার
শ্ৰীমতী সুখের আলিঙ্গন পেতে
ঢ্যাঙ কুড়াকুড় ঢাকের সাথে
কোমর দুলিয়ে নাচছে।
হেঁকে হেঁকে ডেকে যায়-
বিবেক। করুণা। সাধারণ জ্ঞান।
অথচ মানুষ?
সুখের রঙ গুনতে এতোটাই ব্যস্ত সে,
তাদের ডাক কখনো শুনে না।
এদিকে সেজে গুঁজে
আজন্ম বসে আছে দুঃখ।
অথচ প্রেমের পুষ্প হাতে
কোন প্রেমিক কখনো আসে না।
© অরুণ মাজী
Painting: John William Godward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem