ইচ্ছে হয়, এখনই সবার চরণ আঁকড়ে ধরি।
করুণাময় ঈশ্বর, আমার বাবা মা ঠাম্মা কাকা কাকী আত্মীয় পরিজন, আর তোমাদের মতো সমস্ত বন্ধুদের- তোমাদের সবার চরণ আঁকড়ে ধরি আমি। তোমাদের চরণ, বুকে আঁকড়ে বলি- আজ আমি কত স্নেহ ধন্য! কত আশীর্বাদপুষ্ট!
আমি বড় ঐশ্বর্য্যবান হয়ে গেছি। পৃথিবীতে এমন কোন রাজা নেই, ধনী নেই, ক্ষমতাশালী নেই; যে আমাকে কোন ধন সম্পদ খ্যাতি ভিক্ষা দিতে পারে। আমার ক্ষুদ্র স্পর্ধায়, আজ আমি কেবল দেবো। নেবো না কিছুই।
ব্যতিক্রম কেবল- তোমাদের ভালোবাসা। তোমাদের প্রার্থনা। তোমাদের হাসি। তোমাদের হৃদয়ের স্পন্দন। সূর্যের আলো। নদীর কুলুকুলু রব। পাখির কলকাকলি। নীল আকাশের হাতছানি। রাতের নিঃস্তব্ধতা। চাঁদের প্রশান্তি।
হে আকাশ
ভিক্ষা যদি করতেইহয়,
তোমার উদাত্ত কণ্ঠের আহ্বান ভিক্ষা করবো।
অট্টালিকা ইমারত কেন?
হে মানুষ
ভিক্ষা যদি করতেই হয়,
তোমার হৃদয়ের স্পন্দন ভিক্ষা করবো।
তোমার দেওয়া অর্থ খ্যাতি কেন?
বড় ঐশ্বর্য্যবান করেছো হে ঈশ্বর
বড় ঐশ্বর্য্যবান করেছো মোরে।
হে মাতা ধরিত্রী
আমাকে অনেক দিয়েছো তুমি।
আজ আর নয়।
আজ আমার ফিরিয়ে দেওয়ার সময়।
আমি তা ফিরিয়ে দেবো। আমি তা ফিরিয়ে দেবো আমার মতো করে। এই পৃথিবীকে অন্তত এক ধূলিকণা বেশি প্রেমিক করবো আমি। এই পৃথিবীকে অন্তত এক ধূলিকণা বেশি সাহসী করবো আমি। এই পৃথিবীকে অন্তত এক ধূলিকণা বেশি শান্ত করবো আমি। এই পৃথিবীকে অন্তত এক ধূলিকণা বেশি স্বপ্নালু করবো আমি। আমি তা করবোই। করবোই।
কি আনন্দ গো কি আনন্দ! আজ আমি দেবো। নেবো না কিছুই।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem