জিকির ই তরিকার প্রান(Jikir I Torikar Pran)) Poem by Rhymer Rhymer

জিকির ই তরিকার প্রান(Jikir I Torikar Pran))

১। ভুমিকাঃ
জ্ঞানের পথে সবাই আছেঃ
কাজের বেলায় নাই। সাধারণ মানুষ অনেক বেশী বুঝে কিন্তু মানে উল্টা পথ। একজন বিড়িখোর শরিয়াত বিপরীত পথে চলা নাচ গান করা তথাকথিত কোন পীর এর মুরিদ কাউকে জিগ্যেস করেন কাল্ব কি; দেখবেন তার কি স্মার্ট উত্তর যা আপনাকে ভিম্রি খাইয়ে দিবে। যদি বলেন বিড়ি খান ক্যান তো আপনাকে এমন জ্ঞান দেবার চেষ্টা করবে যা কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার হয় ডাণ্ডারে নাই না হয় চিন্তায় করার সময় ই পান নাই। সমাজে জ্ঞানের অভাব নাই কিন্তু এর সঠিক ব্যাবহার আমি আপনি সে সবাই চাই! যাক আমি একজন পীর ভক্ত। এই পেইজে জিকিরের উপর লিখতে চাই। সবার দোয়া চাই...আল্লাহ আমাকে তাউফিক দান করুন; আল্লাহা হুম্মা আমিন!

২। জিকির কি?
জিকির মানে স্মরণ করা! আল্লাহ র নাম স্মরণ মানে আল্লহ কেই স্মরণ। ইবাদত করলেই আল্লাহ কে স্মরণ হয়! এটা ঠিক কথা! কিন্তু শুধু নামাজ রোজা হাজ জাকাত এই ইবাদত গুলিকে অর্থবহ করার জন্য আর কিছু কাজ বা ইবাদত আছে যা সাধারণ মানুষ ইবাদতই ভাবে না। যেমন অন্তর পাক সাফ করাও এক্তি ফরজ ইবাদত। অন্তর থেকে হিংসা লোভ পরচর্চা এগুলো দূর না করলে দুধে এক ফোটা নাপাকি দেয়ার মত ইবাদত করলে আল্লার দরবারে কি গ্রহণযোগ্য হবে? জিকির মন নরম করে দিলে শান্তি এনে পাপ ঝরিয়ে ফেলে দেয়! হিংসা দূর করে মঙ্কে খালেছ করে দেয়বযা অন্য ইবাদতে স্থায়ী হয় না!

৩/ ক। কি লাভ জিকিরে?
জিকির দিলের শান্তি আর আল্লাহ র বন্ধুত্তের পথ। দিল পাক সাফ আর শান্ত থাকলেই আকায়েদ দুরস্ত থাকে। আকায়েদ দুরস্থ না হলে আমল বরবাদ হয়ে যাবে। শুদ্ধ আমল গুপ্ত খাজিনার পথে নিয়ে যায়। কাল্বের জ্ঞান ভাণ্ডার খুলে যায় আর আধ্যাত্মিকতার উন্নত স্তর অর্জিত হয়। জিকিরকারীর রুহ জীবিত আর জিকিরহীন লোকের রুহ মৃত। জিকির কাল্বকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। আল্লাহর পাগল করে তোলে। সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আমাদের ক্বলব বা মন সুস্থ হয়ে যায়। আল্লাহ পাক তখন ইচ্ছা করলে এই ক্বলবের মধ্যেই এক জ্ঞান দান করেন। এই জ্ঞান কোন বই পত্র পড়ে বা শুনে অর্জন করা সম্ভব নয় । এই জন্য এই জ্ঞানকে ক্বলবী জ্ঞান বা আত্বিক জ্ঞান বলা হয় ।।সকল অনুপ্রেরনার উৎস ই কাল্ব। যা সুস্থ না থাকলে পুরা দেহই অসুস্থ থাকে!

৩/ খ। লতিফা পাকসাফ হলে কি কি লাভ আসে?
* কাল ব লতিফা পাক সাফ হলে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি খুলে যায়। এ লতিফায়
হাজ্রত আদম আঃ এর কদম মুবারক থেকে তাউবাহ ফায়েজ অর্জিত হবে। তাউবাহ ফায়েজ অর্জিত হলে সকল গুনাহ মাফ হবে, গুপ্ত গুনাহ গুপ্ত ভাবেই মাফ হবে। এর থেকে সুন্দর পাবার আর কি আছে।
* রুহ লতিফা পরিছন্ন হলে খুলুছিয়াত অর্জিত হবে। খুলুছিয়াত ছাড়া সকল ইবাদত ই তো মাটি। ইব্রাহিম আঃ ও নুহ আঃ ুণ অর্জিত হবে। তুমি খালেছ ভাবে আল্লাহ পথে অগ্রসর হবে । কোন বাধা তাকে ফেরাতে পারবে না।
* ছির লতিফা জিকিরে পাক সাফ করলে আসবে জহদের ফায়েজ। দুনিয়ার খাহেসাত উঠে িয়ে সকল নিষিদ্ধ বস্তু থেকে চিরতরে পরহেজ। জাহেদ বান্দাহ আল্লহ র মুহব্বতে ফানা হয়ে সংসারে থেকেও সন্সারহীন ক জবর আধ্যাত্মিকখেলা চলে!
* খফি লতিফা পাক্সাফ হলে আসে অরার ফায়েজ। সে হয় আলাদা দরোজার পহেজগার। মাক্রুহ মুবাহ এমন কি হালাল জিনিসে সন্দেহ থাক্লেও তা সে পরিহার করে।
* আখফা লতিফা পাক সাফ হলে আসে শোকরের ফায়েজ। আল্লাহ শাকের বান্দাহ
বান্দাহ হওয়া ক বিশাল অরজন। সকল নিয়ামত ও এহসানের জন্য বিনয়াবনত হওয়া ুজুর পাক সঃ র এক বিশেষ গুন যা বান্দার অর্জন হবে।
* নফস লতিফা পাক পবিত্র হলে আসবে তাওয়াককুলের ফায়েজ। আম্মারা হালে নফস চরম বদমাশ থাকে। জিকির করতে করতে তা লাওয়ামা হয়ে যায়। এ অবস্থায়ও সে মাঝে মাঝে কবিরা গুনাহ করে ফেলে নিজেকে ধিক্কার দেয়। এটি আল্লাহ র কাছে পছন্দনীয় তাই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। নফসের চরম সংশোধন ে বলে মুত্মাআইন্না হাল। এটাই প্রশান্ত আত্তা।
*আব লতিফা পাক সাফ হলে কানায়াতের গুন। কানায়াত মানে অল্পে তুষ্ট হওয়া। আল্লাহ যা দিয়েছে তা নিয়ে তুষ্ট থাকা।
* আতশ লতিফা ঠিক বা পরিশকার বা পাক পবিত্র করলে আসবে তাছলিমের গুণ।
সকল মুছিবত সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেওয়া। রিয়া, অহংকার, ধনের গৌরব, ফখর, বংশ গৌরব এ সবই উঠে যাবে। আত্মসমর্পণের শক্তি আসবে।
* খাক লতিফায় আসে রিজার গুণ। রিজা মানে রাজী থাকা। কোন অবস্থাতে না রাজি নেই যেনও মাটির মানুষ।
* খলা লতিফায় পরিছন্নতা আসলে তাওয়াজ্জুর গুন আসবে। এ গুণ আপনার মধ্যে এনে দিবে নম্রতা, ভদ্রতা, আর শালীনতা। আধুনিক যুগে এ গুন টার খুব প্রয়োজন।

৪। কোথায় জিকির করা হয়?
জিকির মূলত কাল্ব (আর অন্যান্য লতিফাকে))লক্ষ্য করে জবর/আঘাত/ ছুড়ে দিতে হয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে লতিফা গুলু কি বা কি কি। মানুষ যখন তার অন্তরের ঐশ্বর্য্ সমপর্কে অবগত হয়-তখন একদিকে সে দেহকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে, দেহের জৈবিক ক্ষুধাকে বশে আনতে শেখে, অন্যদিকে তার দেহের মধ্যেই অনেকগুলো অদৃশ্য বন্দরে বাতি জ্বলে ওঠে। দেহের এই বন্দর গুলোকেই তরিকতের ভাষায় লতিফা বলে।(কপি)সালামাবাদ ছিলছিলায় মোট ১১ টি লতিফা ধরা হয়ঃ ক্কালব বাম স্তনের দুই আঙ্গুল নীচে হলদে রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। রুহ ডান স্তনের দুই আঙ্গুল নীচে লাল রঙের নুরের গোস্তের টুকরা।ছির বুকের কড়ায় দুই দুধের মাঝখানে সাদা রঙের নুরের গোস্তের টুকরা।খফি সেজদার জায়গায় কপালের মাঝখানে কালো রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। আখফা মাথার তালুতে সবুজ রঙের নুরের গোস্তের টুকরা।নফস নাভি মূলে রংহীন বিশুদ্ধ হওয়ার পর উজ্জ্বল তারকার মতো নুরের গোস্তের টুকরা। আব সর্ব শরীররে পানির মতো জলীয় অংশ।আতশ সর্ব শরীরে তাপের/আগুনের অংশ। খাক সারা দেহে মাটির অংশ।বাদ বাতাসের অংশ।খালা সমস্ত শরীরের শূন্য জায়গা।

৫।কিভাবে জিকির শ্রেষ্ঠ ইবাদত?
হাদিছে রাসুল সঃ বলছেন জিকির জেহাদ, দান খয়রাত এসব থেকেও উত্তম তাই।এটা অন্তর শান্তিতে ভরপুর করেঃ "আ'লা বি জিক্রিল্লাহি তা'আত মাইনুল কুলুব"! এটা কাল্ব কে অপবিত্রতা থেকে পরিষ্কার করে পবিত্র করেঃ "ওয়া ছিক্কালাতুল ক্কুলুবি জিক্রুল্লাহ"! আর এই কাল্ব হল আল্লার আরশঃ "ক্কুলুবুল মু'মিনা আরশুল্লাহ"তা যে পাকছাফ করে তার মর্যাদা কি?
জিকির সকল ইবাদত কে সহজ করে আর সংরক্ষণ করে থাকে।জিকির অন্তরে খুলুছিয়াত পয়দা করে।খালেছ দিল ছাড়া ইবাদত করে সে তো মনাফেক! হাদিসঃআবু দারদা রাঃ থেকে " আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা জানাবনা যা, তোমাদের কর্তা বিধাতার নিকট সর্বপেখা প্রিয়, পবিত্র, ও সরবত্তম। যা আল্লাহ র পথে সোনা রূপা দান করা থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ? এমন কি অধিক পূর্ণঅর্জক, রণক্ষেত্রে শত্রু নিধন থেকেও? তা হল জিকির ।
(আহম্মদ মালেক, তিরমিজি, ইবনে মাজা))

৬। কিভাবে তা জারি হয়?
দুই চোখ বন্ধ করে নামাজের সুরতে বসতে হবে । জাহেরি চোখ বন্ধ করলে বাতেনি চোখ খুলে যায়। এরপর পীরের উছিলায় জিকির করতে হবে (আমি আমার কাব্লের তরফ মুতাওয়াজজা আছি । আমার কাল্ব আমার হুজুর কিব্লার কাল্বের উছিলায় আল্লাহ তা'আলার তরফ মুতাওয়াজজা আছে। আল্লাহ আল্লাহ জিকিরের নুর মুহব্বত আর মাকামে তাউবার ফায়এজ আমার কাল্বে আসুক!))কারণ, তিনি হলেন কাব্লের কিব্লা আর না হলে ফায়েজ আসবে কি ভাবে তার বিহিন? সকল লতিফায় বিশেষ করে কাল্বে জিকিরজারী করতে হলেঃ নিয়ত করে আল্লাহ শব্দের আঘাত করতে হবে আর হু দিয়ে তার খারাপি গুলি যেমন গাফিলত ওয়াস্ওয়াসা বের করে ফেলতে হবে। আল্লাহ হু আল্লাহ! বিড়াল যেমন ইঁদুর ধরার জন্য ওঁত পেতে বসে থাকে, তেমনিতর একাগ্র চিত্তে খেয়ালে জিকির করতে হবে টার্গেট অই লিতিফা কে। ধ্যান করতে হবে আল্লাহ আল্লাহ জিকির আমার কাল্বে জারী হয়ে যাক। এর ফলে কাল্বে এক ধরনের হরকত বা স্পন্দন হবে। জাকের ধারনা করবে যে আল্লাহ র ফজলে জিকিরের ফায়েজ আমার কাল্বে আসছে। এটা জলি বা উচ্চ স্বরে ১০১ বা অধিক বার আর খফি বা অন্তরে অন্তরে ১০১ বার করে যেতে হবে। জলি হবে কাল্বের ময়লা দূর করে পাক্সাফ করার জন্য আর খফি হবে নিজের গুপ্ত গুনাহ খাতার মাফ চাওয়ার জন্য। কেন এত গুনাহ করলাম আর আমার মহান আল্লাহ কে বেজার করলাম। এভাবে তাউবার ফায়েজ আসবে । চোখ দিয়ে পানি ঝরবে আর গুপ্ত গুনাহ আল্লাহ গোপনেই মাফ করে দিবেন। এভবে আস্তে আস্তে জিকির গালেব হবে।

৭। কাল্ব কি?
ক্বাল্ব এরাবিক শব্দ যা আপনার মন বা আত্তা বা দিল যাকে ইংরাজিতে হার্ট বলা হয়! পবিত্র হাদিস "জেনে রেখ, মানুষের দেহের মধ্যে এক খন্ড মাংশ পিন্ড আছে, যখন তাহা সংশোধিত হয়, তখন সমগ্র দেহ সংশোধিত হয়ে যায়। আর যখন তা দুষিত হয় তখন সমগ্র দেহটাই ত দুষিত হয়ে যায়। মনে রেখ ওটাই ক্বলব"(বোখারী ও মুসলিম শরীফ) । সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আমাদের ক্বলব বা মন সুস্থ হয়ে যায়। আল্লাহ পাক তখন ইচ্ছা করলে এই ক্বলবের মধ্যেই এক জ্ঞান দান করেন। এই জ্ঞান কোন বই পত্র পড়ে বা শুনে অর্জন করা সম্ভব নয় । এই জন্য এই জ্ঞানকে ক্বলবী জ্ঞান বা আত্বিক জ্ঞান বলা হয় ।।সকল অনুপ্রেরনার উৎস ই কাল্ব। যা সুস্থ না থাকলে পুরা দেহই অসুস্থ থাকে!

৮। জিকিরের লাভের পূর্ণ তালিকাঃ

১।জিকির শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়ে তার শক্তি খর্ব করে,
২।জি্কির আল্লাহ র পরিতোষ লাভের উপায়,
৩।জিকির মনের বিষন্নতা দূর করে,
৪।মনে আনন্দ আনে,
৫।জিকির মন আর শরীর কে উজ্জীবিত ও প্রফুল্ল রাখে,
৬।জিকির চেহেরা ও অন্তর কে জ্যোতির্ময় করে,
৭।জিকির উত্তম রিজিক আকর্ষণ করে,
৮।জিকিরকারীকে প্রভাব ও প্রশান্তির পোশাক পড়া নো হয়। তাকে দেখলে সমীহ ও ভালবাসা জাগে,
৯।জিকির আল্লাহ র ভালবাসায় মন ভরে দেয়,
১০।জিকির ধ্যানমগ্নতা/ মোরাকাবা লাভের দ্বারা এহসানের স্তরে পৌঁছে দেয়।
১১।জিকিরে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহই হন একমাত্র আশ্রয়স্থল,
১২।জিকিরে আল্লহ র নৈকট্য লাভ হয়,
১৩।জিকিরে মা'আরিফাতের দরোজা খুলে যায়,
১৪।জিকিরে আল্লহ র ভয় অর্জিত হয়,
১৫।জিকিরে আল্লহ জাকিরিন কে স্মরণ করেন,
১৬।জিকিরে হ্রিদয় জিন্দা হয়,
১৭।জিকির কলব ও রুহের আহার,
১৮।জিকির কল্ব ও রুহের মরিচা দূর করে,
১৯।জিকির ত্রুটি বিচ্যুতি ও ভুল ভ্রান্তি দূর করে,
২০।জিকির গাফিলতি বা অমনোযোগিতা দূর করে।
২১।জিকির আরশের চতুর্দিকে প্রশংসা মুখর হয়ে ঘুরতে থাকে,
২২।সুখের সময় জিকির করলে দুখের সময় আল্লাহ তা'আলা তা স্মরণ করেন,
২৩।জিকির আজাব থেকে নাজাতের উছিলা,
২৪।জিকির করলে ছাকিনা অবতীর্ণ হয়,
২৫।জিকিরকারির জবান গিবত, চোগলখুরী, অসৎ ও অনর্থক কথা থেকে নিরাপদ থাকে,
২৬।জিকিরের মজলিস হচ্ছে ফেরেশতাদের মজলিস,
২৭।জিকিরের বদৌলতে জাকিরিনের সঙ্গীসাথীরাও সউভাগ্যের অধিকারি হয়।
২৮।জিকিরকারী কিয়ামতের মাঠে কোন আখখেপ করবেনা
২৯।জিকিরে ক্রন্দনকারী কিয়মতে আল্লাহ র আরশের নীচে ছায়ায় আশ্রয় লাভ করবে,
৩০।জিকিরকারী দোয়াকারী থেকে বেশী ছওয়াব পাবে কারন সে সময় পায় নাই আল্লহতে মশগুল হয়ে।
৩১।জিকির সকল ইবাদত থেকে উত্তম যদিও তা সহজ মনে হক,
৩২।জিকির জান্নাতের ছায়া গাছ,
৩৩।জিকিরের জন্য যত প্রতিদান ও পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, অন্য কোন আমলে সেরকম প্রতিশ্রুতি নেই,
৩৪।জিকির নিজের কল্যাণের কথা ভুলে যাওয়ার বিপদ থেকে রখখা করে। আর কল্ব বা মনের মৃত থেকে রক্ষা করে।
৩৫।জার কল্বে জিকির আছে, তার নিদ্রা গাফেলের রাত্রি জাগরন থেকেও উত্তম।
৩৬।জিকিরের নুর দুনিয়ায় আর কবরেও সঙ্গে থাকে। আর পুলছিরাতে আগে আগে চলতে থাকবে।
" হে আমার আল্লাহ, ' আমার মাংসে অস্থিতে, চর্মে পশমে, কানে চোখে, উপরে, নিচে, ডানে, বামে, সম্মুখে, পশ্চাতে নুর দান করো। আমার আপাদমস্তক নুরে ভরপুর করে দাও"!
৩৭।তাছাউফের মুল বিষয় জিকির যা সকল ইমামুত তরিকতগন একমতে আর যার জিকিরের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে, তার মারিফাতের পথ খুলে গিয়েছে।
৩৮।মানুষের অন্তরে এমন একটি কোণ আছে যা জিকির ছাড়া অন্য কোন কিছু দ্বারা পূর্ণ করা যায় না । হৃদয় পূর্ণ পরিসরে যখন জিকিরে ভরে যায়, তখন ঐ বিশেষ কোনটিও ভরপুর হয়ে যায় জিকিরের নুরে। তখন জিকিরকারি সম্পদ বেতিরেকেই হয়ে যায় সম্পদশালী। আত্মীয় স্বজন বা জনবল ছারাই লাভ করে প্রভুত সম্মান। সম্রাজ্জ ছাড়াই হয় সম্রাট। আর যে জিকির করে না, সে আত্তিও পরিজন, বিত্ত সম্পদ ও রাজত্ত থাকা সত্ত্বেও হয় লাঞ্ছিত ও অপদস্ত।
৩৯।জিকির বিক্ষিপ্ত বিষয়গুলুকে একত্র করে আর একত্র বিষয়াবলী করে বিক্ষিপ্ত। দূরকে নিকটে আনে আর নিকট কে দূরে ঠেলে দেয়। অর্থাৎ মনের সকল অসৎ ভাব নাকে দূরে ঠেলে দিয়ে অন্তরে আনে শান্তি ও আল্লাহ প্রেম।দুর্ভাগ্য কে দূরে নিয়ে সৌভাগ্য কে নিকটে আনে।
৪০।জিকির মনের ঘুম ভাঙ্গায় আর সতর্ক করে।
৪১।জিকির ব্রিখখে মা'রেফাতের ফল ধরে।সুফিয়ান কিরাম বলেন তা হাল ও মাকামের ফল।জিকির যত গভীর বৃক্ষের শিকড় ততো গভীর আর ফলও ততো বেশী।
৪২।জিকিরকারি আল্লাহ র সঙ্গী। আল্লহ জিকির কারিকে বন্ধু বানায় যদি তাউবা করে আর না করলেও তার চিকিৎসক হয়ে সাথে থাকেন।
৪৩।জিকির ক্রীতদাস মুক্ত করার সমতুল্য।আল্লাহ র পথে অর্থ বেয় আর জিহাদের তুল্য।
৪৪।জিকিরের শোকরের সমান।জিকিরহিন লোক শুক্রিয়া বিহিন।শুক্রিয়া না থাকলে কঠোর শাস্তি।
৪৫।পহেযগারদের মধ্যে জিকিরকারী অধিক সম্মানিত আর সবসময় জিকিরে মশগুল থেকে তাঁরা আল্লাহ র নৈকট্য প্রাপ্ত ফলে জান্নাতের অগ্রবর্তী দল।
৪৬।অন্তরের দুর্বোধ্য কাঠিন্য একমাত্র জিকির দূর করতে পারে।
৪৭।জিকির সকল রোগের চিকিৎসা।
৪৮।আল্লাহ র সাথে বন্ধুত্ব হয় জিকিরে আর শত্রুতা হয় গাফিলতিতে।
৪৯।জিকির নিয়ামত আনে আর আজাব গজব দূর করে।
৫০।জিকিরকারী আল্লাহ র রহমত আর ফেরেস্তাদের দোয়া প্রাপ্ত।
৫১।জিকিরের জলসাসমুহ জান্নাতের বাগান।
৫২। জিকিরের জলসাসমুহ ফেরেস্তাদের জলসা।
৫৩।আল্লাহ পাক জিকিরকারীদের নিয়ে ফেরেস্তা জলসায় গর্ব করে থাকেন।
৫৪।সরবদা জিকিরকারি হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
৫৫।যাবতিয় আমল জিকির করার জন্যই।
৫৬।সেই আমলই সবথেকে উত্তম যাতে জিকির থাকে। জিকিরময় নামাজ হতে হবে জিকিরময় রোজা বা হজ বা জাকাত সকলই জিকিরময় হতে হবে।
৫৭।বিত্তবান্দের জন্য হজ, জাকাত, অম্রাহ, আর দান সাদকায় অগ্রগামী তথায় রাসুল সঃ গরীবদের বললেন তোমরা জিকিরে অগ্রগামী হও (বেশি বেশি করে সুভানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ আর আল্লাহুয়াকবার পড়))
৫৮।জিকির সকল ইবাদতে স্বাদ এনে দেয় ফলে সকল ইবাদত সহজ ও সহায়ক হয়।
৫৯।জিকির সকল কষ্টদায়ক কাজ সহজ করে আর বালা মুছিবত দূর করে।
৬০।যত জিকির ততো শান্তি আর মনের ভয় ভীতির উৎপাটন।
৬১।ফাতেমা রাদি আল্লাহু তাআ'আলা আনহা তাঁর কষটের কাজ গুলু কমানোর জন্য কাজের লোক চাইলে হুজুর পাক সঃ তাকে জিকিরে অনুপ্রাণিত করেন এই বলে যে, মা তুমি শয়নকালে ৩৩ বার সুভান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লহ আর ৩৪ বার আল্লাহু আকবর পাঠকরও যা চাকর বাকর থেকে উত্তম, কি কথা সুভান আল্লাহ!
৬২।পরবর্তী দুনিয়ার কল্যাণ লাভের জন্য সবাই দউরাচ্ছে কিন্তু জিকিরকারী আগ্রগামি।
৬৩।জিকিরকারিরা আল্লাহরকাছে সত্যবাদী তাই তাদের হাশর সত্যবাদীদের সাথে।
৬৪।জিকির বেহেস্তের নির্মাণ খরচা এনেদেয়। তাই যে যত বেশি জিকির করে তার জন্য বেহেস্তে ততোবেশী স্থাপনা নির্মিত হবে।
৬৫।সুভানাল্লাহি বিহামদিহি সুভাআল্লহিল আজিম সাত বার পড়লে বেহেস্তে তার জন্য একটা সবুজ গম্বুজ তৈরি করা হয়।
৬৬।ফেরেস্তারা জিকিরকারির জন্য ক্ষমা চায়।
৬৭।কোন পাহাড়ে বা প্রান্তরে জিকির করলে ঐ পাহাড় বা প্রান্তর পরস্পর আলোচনা করে গর্ববোধ করে থাকে।
৬৮।অত্তধিক জিকির মুনাফেকি থেকে রক্ষা করে কারণ আল্লাহ বলেন, মুনাফেকরা এমন তারা খুব কমই জিকির করে থাকে।
৬৯।জিকিরের আলাদা স্বাদ আছে যা অন্য আমলে নাই। ফযিলত নাই যদি থাকতো তবু জিকির হতো আস্বাদে অসাধারণ।
৭০।পৃথিবী বা অন্য পরবর্তী জীবনে জিকিরকারীর চেহেরায় নুর জ্বল জ্বল করে আর করবে।
৭১।যে বেক্তি পথে ঘাটে মাঠে কর্মে সদাসর্বদা জিকির করে তার পক্ষে সাক্ষী অনেক বেশী হবে। "ইয়াউমাইজিন তুহাদ্দিছু আখবারাহা" পৃথিবী তার ব্রিতান্ত বর্ণনা করবে! !
৭২।যতক্ষণ জিকির ততোক্ষণ মিথ্যা গীবত আর বাচালতা নাই; দিলো আল্লাহ র জিকিরে নিমগ্নও না হয় মত্ত হবে মাখলুকে।
৭৩।শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন আর তাকে হঠানোর একমাত্র পথ জিকির আর বিশেষভাবে কলবি জিকির যা সাধারণে বুঝে না যদি বুঝো ত করো না কেন?
৭৪।জিকির আল্লাহ র আযাব থেকে সকল আমলের তুলনায় বেশী বেশী রক্ষা করবে।
আর দিলের ময়লা বা দোষ বা অপবিত্রতা একমাত্র জিকিরে দূর হয়। সকল জিনিস পরিশকার করার শাণ যন্ত্র আছে আর দিল পরিশ্কার করার শাণ হোলও জিকির।
সত্যিকার ইবাদত হয় অন্তর পরিষ্কার থাক লে । আন্তরিক জিকির ই আসল জিকির যা আল্লাহ র সাথে দিল কে সংযুক্ত রাখে ফলে আর অন্য কোন আমলও বাদ পড়তে পারে না।আর তোমার জাহের ও বাতেন এ দুই ই অন্তরের অধীন। অন্তর যার সাথে মিলে যায় সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ তার সাথে মিশে যায়। হাজ্রাত ছাল্মান ফারছি বলেছেনঃ জিকির ই শ্রেষ্ঠ কারন তা কুরআন বলছেঃ ছুরা আঙ্কাবুত আয়াত ৪৫/ ওয়া লা জিক্রুল্লাহি আকবারু/ আল্লাহ র জিকির ই হোলও সবথেকে শ্রেষ্ঠও! !
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>


দুটো বইএর সাহায্য নিয়েছি
১।ছিরাজুছ ছালিকিন লেখকঃ পীর প্রফেসর এম এ খালেক রহঃ বি বাড়িয়া আর
২। ছিরাতল মুস্তাকিম- সংগ্রাহক- লেঃ কঃ এ কে এম মফিজুল ইসলাম, দারুল হাবিব খানকাহ, প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২০১৩ / মুল লেখক- হাদিসবেত্তা ইবনে কাইইয়িম (আল ওয়াবিলুছ ছাই-য়িব)

Monday, April 2, 2018
Topic(s) of this poem: mystical philosophy
COMMENTS OF THE POEM
???????? ????? ????? 13 November 2020

খুব ভাল লাগল! আল্লাহ আপনার সহায় হোন- আমিন

0 0 Reply
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success