তোমাকে
"নিসর্গ প্রকৃতি" নামে ডাকতে ইচ্ছে করে।
কত সুন্দর অচঞ্চল তুমি!
নিশুতি রাতের প্রশান্তিও
ঈর্ষায় জ্বলে মরে।
অথচ নিশুতি রাতও কি কম অচঞ্চল?
বালিশকে ঈশ্বরের আশ্রয় ভেবে
তাতে মুখ গুঁজে,
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কত কেঁদেছিলো তিন্নি।
তখন নিশুতি রাত
একাকী তাকে পাহারা দিয়েছিলো।
বুকটা ফুঁপিয়ে উঠেছিলো তার
চোখ বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু ঝরেছিলো তার
কাঁদতেও কত ইচ্ছে করেছিলো তার!
তবুও সে কাঁদে নি।
বুক ফেটে চৌচির হলেও
একবারও সে কাঁদে নি।
আর তুমি?
চোখের মণির মধ্যে
প্রশান্ত সাগরের প্লাবনকে বন্দী রেখে
সূর্যের মতো হাসছো।
হৃৎপিণ্ডের মধ্যে
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিকে তন্দ্রাচ্ছন্ন রেখে
আমাকে
আজও ভালোবেসে যাচ্ছো।
কত কষ্ট তো দিই আমি।
ব্যথা কি তোমার হয় না?
কত তো নৃশংস হই আমি
ক্ষোভ কি একটু হয় না?
উন্মাদ বলেই হয়তো
তোমার মধ্যে আমি মাতৃত্ব দেখি
ঈশ্বর দেখি। প্রকৃতি দেখি।
উন্মাদ বলেই হয়তো
ঠোঁট ছোঁয়ার আগে
তোমার পদস্পর্শ করতে ইচ্ছে জাগে আমার।
তুমি হাসলেই
পৃথিবীটা বড় আলো আলো লাগে।
তুমি ছুঁয়ে দিলেই
অভিশপ্ত জীবনের নিদারুন যন্ত্রণা সহ্য করেও
আরো অনেক বাঁচতে ইচ্ছে করে।
সামান্য এক নারী রূপে
কে তুমি মালবিকা?
© অরুণ মাজী
Painting: Raja Ravi Verma
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
U care for her or not, I think Malabika does not bother.