শরিয়তের হুকুম আহকাম পালন করতে দেখা যায়;
অথচ প্রবৃত্তির খেয়ালে চলে কি করে?
নামায রোজা হজ জাকাত দেয় কিন্তু খেয়ালের দাস
এসবের পরও প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রনে আসেনি...
বলাতকার ধর্ষণ বেড়েই চলছে...
কোন টা বলা হচ্ছে আর বাকিগুলু চেপে যাচ্ছে সমাজ...
instinct বা প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রনের জন্য দরকার সাধনার
ওকে বশে এনে দেহ ও মনের ভারসাম্য আনতে হবে
এটা অনেকে স্বীকার করে না অথচ লুকিয়ে আকাম করে
দেহ ও মনে যাদের ভারসাম্য নেই তারা মোহগ্রস্ত
এই মোহ খুলে অন্তর চোখ শানিয়ে নেয়াইত সাধনা
রিপুর তাড়নায় যারা চলে তারা কেমন মানুষ
মানুষ একপ্রকার পশু যা বিবেকের বলে মানুষ
উন্নত স্তরে সে আশাফুল মাখলুকাত
আশ্রাফ হয় উন্নত সাধনার বলে
নিজেকে আশ্রাফুল বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে লাভ নেই
ভিতরে ভিতরে চুরি ডাকাতি ঘুষ বদামি আর লুচ্চামি ঢেকে সুন্দর কাপড়
ফিন ফিনে আমি...ভালো মানুষ পথ চলছি;
আর সাধক বলছে ভণ্ড যায় অন্তরের কামনা গুলু ছেপে।।
এক কোঠর সাধনার স্তর আশ্রাফুল যার ৩ নম্বর চোখ খোলা
সন্দর নারির মতো দুনিয়ার চাকচিক্কের মোহে সে পড়ে না
ইসলাম বলে সকল কিছুর মাঝে তুমি পথ চলবে;
বৈরাগ্য নহে বাম মাছ কাদায় চলে কিন্তু দেহে কাদা লাগে না;
এরাই মুমিন কষ্টে করে সাধনার দুঃখের মাঝে সুখের তৃপ্তি ঢেকুর
প্রবৃত্তি থাকবে কিন্তু তার দাস মুমিন নহে
এভাবে মানুষ ফিরে পায় মনুষ্যত্ব
লা পরোয়া
নামাজ পড়লাম; তো আল্লাহ কি দিলে আছে;
শয়তান জোঁকের মত অন্তরে গেঁথে আছে; খবর আছে কি;
মৃত্যু ছায়ার মতো অনুসরণ করে; মনে ভয় আছে;
আল্লাহ কছে আছে কিন্তু খায়ালে নাই ফলে বিপথগামিতা
মৃত্যু ছায়ার মত আছে অথচ সীমাহীন কামনা বাসনা
শয়তান নিয়ে ভাবি না অথচ ভাবনাই জীবন
মরণে এতো ভয় কিসে; প্রস্তুত কি আলিঙ্গনের;
সাধক বলে মুমিনের মরন নাই
সে শুধু স্বাদ গ্রহন করে মাত্র
মুমিন ভাবে জীবন মরণ একটা সুতায় বাঁধা
জীবনের জন্নই কি মরণ নাকি মরনের জন্নই জীবন
জীবন ও এ দেহ নয়; মরণ ও এ দেহ নয়
সাধক বলে সে একই জিনিস
অহংকার নয়
সাধনা করো
করনা সময়ের নয় ছয়...