মাঝে মাঝে আমি
মহাকালের নিঃশব্দ অট্টহাসি শুনি।
মানুষকে বিদ্রূপ করে সে বলে-
কি গড়বি হে মানুষ
কত গড়বি তোরা স্বপ্নের প্রাসাদ!
জানিস?
এক লহমায় আমি......
শন শন করে বয়ে যায় বাতাস।
কালো কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ ।
ফুলে ফুলে উঠে
সাগরের ভয়াল কালো নিঃশ্বাস।
টিভির পর্দায় খবর-
বর্ণিওর উপকূলে সুনামি।
তুরস্কে ভূকম্প।
লুজিয়ানায় টর্নেডো।
বাগদাদের বাজারে বিধ্বংসী বোমা।
দেওয়ালের টিকটিকি,
সেও তাচ্ছিল্য ভরে
টিক টিক শব্দ করে
মহাকালের অট্টহাসিকে স্বীকৃতি দিয়ে যায়।
বুক কাঁপে,
আত্মা কেঁদে উঠে আমার।
মুষ্ঠিবদ্ধ হাত শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে বলি আমি-
তবে কিসের জীবন?
কিসের স্বপ্ন? কিসের ভালোবাসা?
কিসের আত্মত্যাগ
এতো লক্ষ মানুষের শত শতাব্দী জুড়ে?
সূর্য উঠে। মেঘ কাটে।
ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা
খলখল করে হেসে উঠে আবার।
সদ্য সন্তানহারা হারাণ মন্ডল
সাত দিন শোকসন্তপ্ত নিঃস্তব্ধ থাকার পর
আজ বাঁশির সুরে গেয়ে উঠে-
"ভাঙবি যদি গড়বো আবার
কিসের ভয় আমার! "
নিজের অজান্তেই
আমিও গুনগুন করে উঠি,
"ভাঙবি যদি গড়বো আবার
কিসের ভয় আমার! "
© অরুণ মাজী
Painting: John William Godward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem