মালবিকা! তুমি?
এ সময় এখানে!
কেমন আছো? কেমন আছো তুমি?
জানো?
তুমি ঠিক আগের মতোই আছো।
মুখে কথা বলো না
কিন্তু চোখে চোখে
বেশি বলো তুমি।
ঈশঃ
কি অঘটন দেখো!
কাজলটা তোমার
চোখ থেকে গড়িয়ে গেছে!
এসো এসো,
এখনই ঠিক করে দিই আমি।
আহঃ কি সুন্দর সুগন্ধ!
কিন্তু এটা তো জুঁই,
চাঁপার গন্ধ তো নয়।
চাঁপা বুঝি আর ভালো লাগে না?
সবুজ শাড়ি কেন?
কালো পাড়ে সোনালী জরির
কমলা শাড়িটা কোথায়?
জানো
কমলা তোমায় দারুন মানায়।
এই দেখো,
কমলা শাড়ি পরা
নদীর ধারে নেওয়া
তোমার সেই ফটোটা।
দশটা বছর হয়ে গেলো
অথচ
আজও ওটা পকেটে রাখতে ভুলি নি।
খোঁপাটা তোমার খালি কেন?
ফুল কই?
"ফুলওয়ালা, এই ফুলওয়ালা
দে তো ভাই দু-গোছা ফুল।
জানিস, বেল ফুলে
তোর দিদিকে দারুন লাগে।
নাহঃ দুগোছা নয়
দিদিকে তুই দশ-গোছা ফুল দে। "
একটা কথা শুনবে মালবিকা?
খোঁপাতে ফুল ছাড়া
কখনো তুমি পথ আর হেঁটো না।
কানের পাশে
চুলটা তোমার উড়ছে যে!
আমায় একটু আড়াল করে দাঁড়াও
এখনই ঠিক করে দিই ওটা।
আচ্ছা, চুলগুলো তোমার দুর্বল কেন?
কয়েকটা চুল ছিঁড়ে এলো যে!
পাক্কা যত্ন নাও না তুমি?
সময়ে খাও তো?
রাতে ভালো ঘুমোও তো?
সকালে উঠলে চা বানিয়ে দেয় কে?
দুধটা আগে
পুরু করে ফুটিয়ে নেয় তো?
জানো, ইচ্ছে হয়
এখনই তোমাকে
নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়াই।
আসবে?
একবার আসবে আমার সাথে?
মালবিকা!
কোথায়? কোথায় তুমি?
এই তো ছিলে আমার সাথে!
কোথায়? কোথায় তুমি?
© অরুণ মাজী
art by Budoir
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem