তোমার হাসিতে সূর্য
অথচ আমার চোখে রোদ্দুর।
তোমার নিতম্বে মেঘ
অথচ আমার বুকে বৃষ্টি।
তোমার বুকে পাহাড়
অথচ আমার বাগানে বসন্ত।
তোমার চোখে চাহনি
অথচ আমার প্রাণে দীর্ঘশ্বাস।
কেউ নও
অথচ তুমি আমার কেউ নও।
তোমার যা কিছু বিন্দু
আমার হৃদয়ে তা সিন্ধু।
যা তোমার ছোট্ট কথা
তা আমার মর্মব্যথা।
কেউ নও
অথচ তুমি আমার কেউ নও।
চকিতে চেয়ে
আড়চোখে বললে সেদিন-
'আজ আসি'?
'না' যদি বলতাম-
তবুও কি তুমি থাকতে মালবিকা,
তবুও কি তুমি থাকতে?
অনন্তের যাত্রাপথে
এসেছিলে হটাৎ;
তুমি চলে গেলে, তাও হঠাৎ।
ফাও পাওয়া জীবন যাদের-
সুখ তাদের বিন্দু
আর্তনাদ তাদের সিন্ধু।
উচ্ছ্বাস তাদের ক্ষণজন্মা
দীর্ঘশ্বাস তাদের দীর্ঘজন্মা।
ছলাৎ ছলাৎ বয় যে নদী
সাপের মতো বেঁকে।
নিতম্ব তোমার তরঙ্গ সম
অমল প্রাণ কাঁদে।
চলে গেলে গো সখী
চলে গেলে।
নিতম্বে নিতম্বে তরঙ্গ তুলে
পরাণ কাঁদায়ে চলে গেলে।
যেতেই তো তুমি এসেছো মালবিকা
চলে যেতেই তো এসেছো।
তবে কেন ব্যথা দিলে
কেন স্বপ্ন জাগালে মনে?
কেন রঙ দিলে
যদি স্পর্শ দিলে না প্রাণে?
কখনো কি তুমি জানবে-
তোমার নয়নে তৃষ্ণা
অথচ আমার বুকে নীল কল্পনা!
তোমার আঁচলে শিথিলতা
অথচ আমার যৌবনের উচ্ছৃঙ্খলতা!
কেউ নও
অথচ তুমি আমার কেউ নও।
তোমার খিলখিল হাসি
অথচ আমার বুকে বাদ্যি।
তোমার চোখে কামনা
অথচ আমার বুকে হাহাকার।
কেউ নও
অথচ তুমি আমার কেউ নও।
হটাৎ-ই এসেছিলে
হটাৎ-ই চলে গেলে।
কিন্তু কখনো কি জানবে
হে মালবিকা, হে আমার মালবিকা
কেন তোমার বাগানে ফুল
অথচ আমার বুকে সুগন্ধ?
© অরুণ মাজী
Painting: Eugene De Blaas
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem