মাঝে মাঝে মনে হয়-
ছিনিয়ে নিই সেই ফুল
সুন্দর তার বৃন্ত থেকে।
উপড়ে নিই সেই চাঁদ
সুন্দর তার আকাশ থেকে।
গোঁফে তা দিয়ে, আস্তিন গুটিয়ে
হাতটা বাড়িয়ে দিই...
তখুনি মনে হয়-
নাহঃ তা কখনো হয় না।
ফুল সুন্দর বৃন্তে
চাঁদ সুন্দর আকাশে!
বলো,
ইচ্ছে কি আমার করে না,
উপড়ে, পকেটে ভরে রাখি
সুন্দর তোমার ঠোঁট দুটো?
তারপর তোমার পুষ্প কুসুমিত ঠোঁট দুটো-
আমার! কেবল আমার!
হতচ্ছাড়া সূর্য তাকে,
ঈর্ষা আর করবে না।
বাউন্ডুলে বাতাস তাকে
গোপনে আর ছুঁবে না।
তুমিই বলো
ইচ্ছে কি আমার করে না?
করে গো করে
বারবার করে।
তবুও আমি পারি না।
এ হাতে এতো জঞ্জাল মেখে আছি
এ বুকে এতো পাপ পুষে আছি-
পাপড়ি এখানে মানায় না।
ফুল সে বৃন্তেই সুন্দর
রাজহংসী সে নদীতেই সুন্দর।
তবে তুমি যদি ছুঁতে দাও,
অন্তত মাঝে মাঝে ছুঁতে দাও;
সে তবে ভাগ্যের কথা।
দেবে? একবার দেবে?
মাইরি বলছি -
হাতে আতর মেখে আসবো
মুখে মৌরি খেয়ে আসবো।
একবার ছুঁতে দেবে?
এক দুই তিন করে
তেরোটা বছর হয়ে গেলো মালবিকা
কেবল তোমার ঠোঁটের নেশায়।
তোমার পুষ্পকুসুমিত
রাঙা রাঙা ঠোঁটের নেশায়।
হে ঈশ্বর,
কতদিন, আর কতদিন বাঁচবো আমি
মালবিকা নেশা বুকে?
© অরুণ মাজী
Painting: Xie Chuyu
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem