ভালো যে বাসে না
তাকে ভুলে যাওয়াই ভালো।
তুমি কি বলো?
দুর্ভাগ্যবশত, হৃদয়টা-
পেন্তীর মায়ের ঘরের উঠোন নয়
যে ঝাড়ু লাগালেই সাফ হয়ে যাবে!
তোমার হাসিকে
তোমার দেওয়া ঘৃণা দিয়ে ধুতে গেলে
তোমার হাসিই কেবল চকচক করে হাসে।
তবুও চেষ্টা যে কখনো করি না
তা নয়।
কিন্তু এক মুহূর্ত ভুলতে গেলে
একশো মুহূর্ত ছেয়ে থাকো তুমি।
এক ইঞ্চি ঠেলতে গেলে
পৃথিবী জুড়ে বসে থাকো তুমি।
আমার স্বপ্ন আর পৃথিবী জুড়ে
এতো যে দখলদারি নিয়েছো
কখনো কি টের পেয়েছি আমি?
অথচ পুরুষের কি দুর্ভাগ্য
নারীর এই নির্মমতাকে
আইন আদালত গ্রাহ্য কখনো করে না!
কতদিন আর
জোর করে বুক জুড়ে বাস করবে
হে মালবিকা?
হতভাগ্যের যন্ত্রণায়
তোমার দয়া মায়া কি হয় না?
ইচ্ছে কি তোমার করে না
অন্তত একটা চুমু দিয়ে
বকেয়া ভাড়াটা চুকিয়ে দিই?
অথবা ঘেঁষে ঘেঁষে পাশে বসে
হতভাগ্যের পিপাসু বুকে
একটু হাত বুলিয়ে দিই?
এতো নির্মম নিষ্ঠুর তুমি
অথচ তা মনে আমার থাকে না।
হাসি দিয়ে ফাঁসি দিয়েছো তুমি
চোখের বাণে অবশ করেছো তুমি।
দিনরাত এতো জ্বালাও তুমি
এবার কখনো যদি এঁড়ে গরু সেজে
তছনছ করি সাজানো বাগান তোমার
কোন সাজা কি দিতে পারো তুমি?
দিলে দিও।
পৃথিবীকে সাক্ষী রেখে আমিও শপথ করছি আজ
একদিন সাজানো বাগান তোমার
তছনছ আমি করবোই।
© অরুণ মাজী
Painting: John William Godward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem