ভেবেছিলাম
সুদীর্ঘ এক চিঠি লিখবো তোমায়।
অথচ দেখো
লিখতে বসে, কেবলই ভাবছি আমি।
পৃথিবী কতখানি বুড়ো হলো যেন?
জানো, সূর্যও একদিন
মরে ভূত হয়ে যাবে!
নদীর প্রেমিকের
নাম জানো তুমি?
খবরদার! মুখ ফস্কেও যেন বলো না-
নদীর প্রেমিক
অরুণ মাজী নামের, উন্মাদ এক মাতাল!
হারামজাদার লেখা
সহ্য করতে পারি না আমি।
ইচ্ছে হয় হারামজাদার......
আমাদের তেঁতুল গাছের
কাঠবেড়ালীটাকে মনে আছে তোমার?
ভয় পেয়ে আজকাল ও
আমার কাছে ছুটে আসে।
বেচারা কাঠবেড়ালী! ও জানে না
মানুষের চেয়ে নৃশংশ কেউ নেই!
আচ্ছা,
আমাকে কি, মানুষের মতো দেখতে?
ঠিক বলছো? অবিকল মানুষের মতো?
আজকাল
কেমন সন্দেহ হয় আমার!
আসলে
জীবনে কোন কিছুই তো আমি
বিশুদ্ধ চিত্তে করতে পারলাম না!
এই ধরো, ভালোবাসা।
তোমাকে ভালোবাসি ঠিকই।
কিন্তু ঘৃণাও একটু করি।
ঠোঁট তোমার ছুঁতে চাই ঠিকই।
কিন্তু সন্দেহও একটু করি।
বৈরাগ্যের প্রশংসা করি ঠিকই।
কিন্তু টাকাও ভালোবাসি।
মানুষ হয়ে জন্মে
কেমন এক হিঁজড়ে হয়ে গেলাম।
মাঝে মাঝে বুকের চুল
ফিতে দিয়ে মাপি আমি।
সত্যিই কি পুরুষ মানুষ আমি?
তোমার কি মনে হয়?
ধ্যাস! এতে আবার লজ্জা কি?
না হয় কানে কানেই বলো আমায়।
বীর পুরুষ হতে চাই
কিন্তু পারি না।
হিঁজড়েদের জঙ্গলে বাস করে
হিঁজড়ে না হওয়া বড় কঠিন তপস্যা!
তা বলে তুমি ভেবো না
হিঁজড়েদের ঘৃণা করি আমি।
আমার মতো, "চরিত্র হিঁজড়ে" যারা
কেবল তাদেরই ঘৃণা করি আমি।
আচ্ছা, চোখটা তোমার
আরও গভীর হয়েছে?
বুকটা আরও ডাগর?
নাভিটা বড় সাগর?
তোমাকে ভালোবাসি ঠিকই।
কিন্তু তোমার বুক আর নাভিকে
মাঝে মাঝে বেশি ভালোবাসি।
সরি! সত্যি বলে ফেললাম।
আসলে তোমার ছোঁয়া পেয়েছি কিনা!
তাই মাঝে মাঝে
সৎ সাহসও বুকে ভর করে বসে।
কেবল
তোমার স্পর্শের কারনেই,
আজও আমি
পুরোপুরি হিঁজড়ে হতে পারি নি।
তাই খিঁচুড়ি মার্কা হিঁজড়ে সেজে
ত্রিশঙ্কু হয়ে ঝুলছি আমি।
তবে কখনো যদি ভালোবেসে টেনে নাও আমায়
বড় এক মানুষ হয়ে যাবো আমি।
নইলে,
হয়তো বা হিরকুচে এক হিঁজড়ে হয়ে
কবি বা রাজনীতিক সেজে
ভারতমাতার ধর্ষক হবো আমি।
© অরুণ মাজী
Painting: Daniel Gerhertz
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Thinking about writing a long letter amazes mind. But sometimes love is dragged. Hanging emotion on a triangle matters a lot to wrote emotional letter. Story of Malobika is brilliantly penned...10