কে কবে
প্রেমের কপালে
জয় তিলক এঁকে বলেছিলো-
মুখপুড়ী, তুই এমন সুন্দর হ
যেন তোর নরম বুকে
স্ত্রী পুরুষ সবার মৃত্যু হয়?
মানুষ ভাসতে জানে
ভাসাতে জানে না।
নাচতে জানে
নাচাতে জানে না।
অথচ দেখো-
সামান্য চাঁপার গন্ধ
আমার বাপ ঠাকুরদা, আর তার চৌদ্দ পুরুষকে
যুগ যুগ ধরে
সকালে, ঘুম থেকে উঠিয়ে মন্ত্র পড়িয়েছে।
তাদের গদ্য গদ্য হৃদয়ে, পদ্যের ঢল নামিয়েছে।
একখণ্ড প্রদীপের আলো
যতটা আঁধার দূর করতে পারে,
হাজার হাজার বছর ধরে লেখা
মানুষের লক্ষ ধর্মশাস্ত্র তা পারে না।
আজ চৌদ্দ হাজার বছর হয়ে গেলো-
প্রেম নামের সেই মুখপুড়ী
মানুষের জীবাশ্মে নেকলেস গড়ে
আজও-
অধরা এক সুন্দরী সেজে বসে আছে!
মানুষকেও বলি-
বলিহারি তোমাদের আক্কেল বাপু!
এতো যে 'প্রেম প্রেম' করো তোমরা;
বলো তো-
প্রেম সুন্দরীর পাটিতে দাঁত কটা?
গালে তার তিল আছে কিনা?
বুকে তার এভারেস্ট, অথবা কাঞ্চনজঙ্ঘা?
নাভিতে তার সোনালী নদী
অথবা কর্দমাক্ত চোরাবালি?
মানুষ আজও তা জানে না।
মানুষ ভাসতে জানে
ভাসাতে জানে না।
নাচতে জানে
নাচাতে জানে না।
সময় নামের সেই অদৃশ্য বুড়োটা
মানুষকে ফড়িং সাজিয়ে,
লেজে তার ক্যাডবেরি চকলেট বেঁধে,
তামাশা দেখতে দেখতে
ভুর ভুর করে হুঁকো টানতে থাকে!
অথচ মানুষ
গোঁফে তা দিতে দিতে দিবা স্বপ্ন দেখে-
সৃষ্টির সেরা জীব নাকি সে!
একদিন নাকি
মহাবিশ্বকে হাতের তালুতে বন্দী করবে সে!
পাগলে কিনা বলে
ছাগলে কিনা খায়!
একজন পুরুষ এখনো জানলো না-
তার স্ত্রীর অভিমান, ঠিক কি কি কারনে হয়!
একজন নারী এখনো জানলো না-
তার পুরুষ মানুষটা,
তাকে দেখলে
কেন তৃষ্ণার্ত এক শিশুর মতো, এতো উন্মাদ হয়ে উঠে!
এই জ্ঞান নিয়ে
মানুষ নাকি একদিন মহাবিশ্ব জয় করবে!
জগাই, তুই গেলি কোথায়?
আয়, এক ছিলিম তামাক দে আমায়।
নেশাতে বুঁদ হয়ে
আরও একটা, আনাড়ি কবিতা লিখি আমি!
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem