আমার হৃৎপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ আছে। তার একটাতে থাকে "ভারত", আর বাকি তিনটাতে- বিবেকানন্দ, সুভাষ বসু, আর আইনস্টাইন।
আমি যখন সঙ্কটে পড়ি, আমি এদেরকে স্মরণ করি। এরা আমাকে- লোভের সময় ত্যাগ শেখায়, ভয়ের সময় সাহস দেয়, বুদ্ধিবিনাশ কালে আমার চৈতন্য ঘটায়।
সব মানুষের বুকে, প্রেরণার একটা উৎস থাকা দরকার। মানুষের উচিৎ, সেই উৎসকে হৃৎপিণ্ডের মধ্যে ভরে, জীবন পথে পাড়ি দেওয়া। কে জানে- জীবনে কখন কোন সঙ্কট আসবে! বুকের মধ্যে আলো না থাকলে, আঁধারে পথ দেখবে কি করে?
সব মানুষের জীবনেই কিছু CORE VALUE থাকা দরকার। CORE VALUE না থাকলে, নিতান্ত তুচ্ছ কারনেও মানুষ তার চরিত্র বেচে ফেলবে। চরিত্রহীনরা চরিত্র বেচে, মানুষ তা কখনো বেচে না। ফেতি কুত্তাও উদর পূর্তি করে, আর মানুষও উদর পূর্তি করে। কিন্তু ফেতি কুত্তা- জঞ্জাল আবর্জনা মল মূত্র ইত্যাদি চেঁটে, তার উদর পূর্তি করে। একজন হুঁশ যুক্ত মানুষ কি তা করে? নাহঃ সে তা করে না।
মনুষ্য সদৃশ দেখতে হলেই তো মানুষ হওয়া যায় না! যে ব্যক্তি তুচ্ছ স্বার্থের কারনে, অন্যের পশ্চাৎ বা অগ্রদেশের- আবর্জনা মল মূত্র চাঁটে; তাকে ফেতি কুত্তা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় কি? সে ব্যক্তি যদি বিশাল বড় রাজনীতিক, অভিনেতা, ব্যবসায়ী, লেখকও হয়; তাহলেও সে ব্যক্তি- ইতর ফেতি কুত্তাই থাকবে। তাই না?
দুর্ভাগ্য, আমরা মানুষ হয়েও কেঁচো কৃমি ফেতি কুত্তা, ইত্যাদির মতো জীবন যাপন করি। আমাদের সন্তানরা- আমাদের এই ফেতি কুত্তা সুলভ জীবন প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করে। আমাদের প্রতি, তাদের কি কোন শ্রদ্ধা হবে? তারা আমাদের থেকে কি শিখবে? পৃথিবী আর আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য, আমরা কি রেখে যাচ্ছি?
তিষ্ঠ ক্ষণকাল হে মানুষ, তিষ্ঠ ক্ষণকাল। আয়নার সামনে দাঁড়াও। নিজেকে কি দেখছো? মানুষ অথবা ফেতি কুত্তা?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem