পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে মুসলমানের উপর, যদি আসে কোনো আঘাত
চুপ কোরে কি নীরবে বোসে রইবে মুসলমান, কোরবেনা কোনো প্রতিরোধ প্রতিঘাত?
মুসলমান মানে ভ্রাতৃত্ব প্রতিম অবিচ্ছেদ্য এক, ধর্মীয় দৃঢ় বন্ধন
আল্লাহ্র মনোনীত সর্ব শ্রেষ্ট ধর্ম ইসলাম, যাবে নাকো তাকে করা খন্ডন।
সৃষ্টির প্রথমেই আল্লাহ্ সৃষ্টি কোরেছেন, নূরে মুহাম্মদী (দঃ) কে
যাঁর নূরে সৃষ্টি কোরেছেন আল্লাহ্, আঠারো হাজার সৃষ্টি কূল কায়েনাতকে।
শেষ জমানায় যাঁকে পৃথিবীতে পাঠালেন আল্লাহ, আরবের অন্ধকার যুগে
আইয়ামে জাহেলিয়াতে আরব যখন, ডুবে আছে পাপাচারের ক্যান্সার রোগে।
যাঁর পরে আর কোনো নবী রসুল, আসবেনা এই পৃথিবীতে
তিনিই শেষ নবী এবং রসুল এই বসুন্ধরাতে।
ওহে বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমান, চোখে দখো আজ, ফিলিস্তিন গাজা ভারত সুদানের প্রতি
ইহুদী নাসরা কাফের মুশরেক আজ নির্বিচারে কোরছে গণহত্যা জান মাল সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি।
ভরতে শত শত মসজিদ মাদ্রাসা ভেঙ্গে, পুড়িয়ে দিচ্ছে মাটিতে মিশিয়ে
নামাজরত মুসলমনকে পদাঘাত হেনে, ফেলে দিচ্ছে মাটিতে লুটিয়ে।
নারীদের হেজাব পোষাক টেনে কোরছে চরম অপমান
আসমানী কিতাব আল্ কোরআন, ছিঁড়ে পুড়িয়ে কোরছে পদদোলিত বেঈমান নাফরমান।
বাড়ি ঘর ভেঙ্গে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, মুসলমানদের কোরছে আশ্রয়হীন
দাড়ি ওয়ালা মুসলমানের দাড়ি ধোরে টেনে, কোরেছে চরম অপমান।
চল্লিশ কোটি মুসলমান আছে ভারতে, আছে তাদের নাগরিকত্বের অধিকার
সর্বকালিন নিরাপত্তা শান্তির তারা, আইনত দাবীদার।
ফিলিস্তিন গাজা ভারত সুদানে চোলছে, মুসলমানদের নিধন অভিযান
বাঁচার তাগিদে যে যেদিকে পারছে ছুটে পালাচ্ছে, বাঁচাতে তাদের প্রাণ।
সুদানের দিশেহারা মুসলমান আজ, কোরছে হৃদয়স্পর্শী বুক ফাটা আর্তনাদ
কালো বোলে আমরা আমাদের পাশে নেই কেউ, নেই প্রতিঘাত প্রতিবাদ।
সুদানের মুসলমান ভাইরা আমার, তোমরাকি পোড়া কয়লা মেখে হয়েছো কালো
মহান আল্লাহ্র সৃষ্টির সৃষ্টি তোমরা, তোমরা জগতের আলো।
তোমাদের বুকে আছে ঈমানী বল, আছে আল্লাহ্ রসুল ইসলামের জ্যোতি
তোমরা মুসলমান, ইসলামের বলে বলীয়ান, তোমরা মূল্যবান অতি।
বেলাল হাবসী রোঃ) ছিলেন তোমাদের মতো কালো, সাচ্চা ঈমানদার মুসলমান
বক্ষ ছিলো তাঁর ইসলামের প্রেম ভালোবাসায় পূর্ণ, ঈমান ছিলো উহুদ পাহাড় সমান।
উমাইয়ার শত অত্যচার যাকে, কোরতে পারেনি দুর্বল
যায় যাবে প্রাণ, আল্লাহ্ রসুল বক্ষে ছিলো তাঁর, ছিলো দৃঢ় মনোবল।
ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হয়ে ছিলেন তিনি, আল্লাহ্র এশকে মুহব্বতে
সুমধুর কণ্ঠে তাঁর আযানের ধ্বণি, দেরী হোতোনা আল্লাহ্র আরশে পৌঁছাতে।
মহামান্য প্রেসিডেন্ট ধর্মীয় নেতা ইরানের, আয়াতুল্লাহ্ আলী খামেনী
শক্ত হাতে ধোরে হাল, হঠাৎ কোরে দিলেন ছেড়ে কেনো আপনি?
আপনিতো ভালো কোরেই জানেন, ইজরাইলী ইহুদী যুদ্ধ বিরতি চুক্তি, প্রহসন ছাড়া কিছু নয়
ওদের না আছে ধর্ম, আল্লাহ্ রসুল, মানুষ মানবতা আল্লাহর ভয়।
ইহুদীর কথা বিশ্বাস কোরে, দিলেন হাল ছেড়ে হঠাৎ কোরে
সেই সুযোগে ইজরাইল, হাজার হাজার মুসলমানের প্রাণ নিলো কেড়ে।
বিশ্ববাসী মুসলমান! আর কতো ঘুমাবে, নীরবে চেয়ে রবে, মুসলমানের সর্বনাশ দেখে
ওঠো! জেগে উঠো এবার ইহুদী কাফের মুশরেকের করো বিনাশ একে একে।
কেমন মুসলমান আমরা? বিশ্বের দুই শত কোটি মুসলম নীরবে চেয়ে দেখি
নির্যাতীত মজলুম মুসলমান ঈমানী বলে, লড়াই কোরে যাচ্ছে একাকী।
সারা বিশ্বের মুসলমান যদি এক জোট হয়ে, দাঁড়ায় তাদের পাশে
ভাতৃত্ববন্ধনে ইসলামের টানে, নির্যাতীত যত মসলমানের উদ্ধারের আশে।
ইসলামের ইতিহাসে বহু নিদর্শন, আছে যুদ্ধ জয়ের অসংখ্য বীরত্ব গাঁথা
মুসলমান নয়কো ভীরু সৌর্য বীর্যে সাহসে হিম্মতে দুর্জয়ে সাফল্যে, করোনাকো নত মাথা।
ইসলামী তেজে বলীয়ান হয়ে, জেগে উঠো আজ বিশ্ব মুসলমান, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে দিকে দিকে
ইহুদী নাসারা কাফের মুশরেক, কম্পিত হোক তা দেখে।
জেগে ওঠোঁ আজ হুঙ্কার ছেড়ে, মজলুম মুসলমানের রক্ষার তরে
ঝাঁপিয়ে পড়ো আজ বিশ্ব মুসলমান, আর বিলম্ব কভু নাহি কোরে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem