"বস্তুত চক্ষুতো অন্ধ হয় না কিন্তু ঐ ক্বলব অন্ধ হয় যে ক্বলব হলো বুকের মধ্যে।
(সুরা হজ্ব ৪৬)
"নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের শরীর বা আকৃতির দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের ক্বলবের (মন বা অন্তর)দিকেই তাকান।"
"ক্বলব হলো সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গেঁর বাদশা।"
(মেরকাত শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৬২)
একটি দেশের বাদশাহ ভাল হলে
দেশের প্রজারাও যেমন ভাল হতে বাধ্য হয়
একটি মানুষের ক্বলব বা অন্তর ভাল হলে
নিজের কাজ কমর্ও ভাল হয়ে যায়।
অপর দিকে একটি মানুষের ক্বলব খারাপ হলে
তার কর্মকান্ডও খারাপ হয়ে যায়।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছ:
‘‘তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ পড়ে গেছে।ফলে তারা বুঝে না।"
(সুরা তওবা, আয়াত-৮৭)
"আমি তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছি। ফলে তারা শুনতে পায় না।"
(সুরা আ'রাফ-১০০) ।
সেদিন (কিয়ামতের দিন)কোন অর্থ সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবে না;
সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সুস্হ বা পরিচ্ছন্ন ক্বলব নিয়ে আল্লাহর কাছে আসব।
(সুরা শু'আরা ৮৮-৮৯)
যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার ক্বলবে(অন্তর বা মন)সৎপথ প্রদর্শন করেন।
(সুরা-আত তাগাবুন-১১)
তাদের ক্বলবে(অন্তর বা মন) আল্লাহ ঈমানকে নির্ধারিত দিয়েছেন।
(সুরা মুজাদালাহ-২২)
সেই পরম প্রকাশিত সুন্দর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দিদার লাভ করতে হলে
মুরশীদের নিকট আনুগত্তের বিকল্প নেই বললেই চলে।
দুনিয়ার লোভ ত্যাগ করে ওলী-আল্লাহ গনের সাহচর্যে থেকে নিজের চরিত্র ঠিক করে রাসুলুল্লাহ (দঃ)এর নীতি অনুযায়ী চললে দুনিয়াতে শান্তি আখেরাতেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কারন ওলী-আল্লাহ গনের সান্নিধ্য ছাড়া চরিত্র ঠিক করা সম্ভব না
কেও কখনো পারে নাই পারবেও না।
সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আমাদের ক্বলব বা মন সুস্থ হয়ে যায়।
এই জিকির এর ফায়েজ বা নূর পীরের মাধ্যমে এসে থাকে।
আল্লাহ পাক তখন ইচ্ছা করলে এই ক্বলবের মধ্যেই এক জ্ঞান দান করেন।
এই জ্ঞান কোন বই পত্র পড়ে বা শুনে অর্জন করা সম্ভব নয় ।
এই জন্য এই জ্ঞানকে ক্বলবী জ্ঞান বা আত্বিক জ্ঞান বলা হয়।