এদিকে একটু আসবে মালবিকা?
ছায়া ছায়া বারান্দার দিকে।
কতকাল যে
আদর করি নি তোমাকে!
অপেক্ষা করো হে মৃত্যু
একটু অপেক্ষা করো ভাই।
মালবিকাকে আদরে ব্যস্ত আমি
মরণের সময় নাই।
প্লিজ, ঘাড়টা একটু উঠাও।
একটা। প্লিজ আর একটা।
আঃ জুড়িয়ে গেলো প্রাণটা।
দিন দিন তুমি
আরও মিষ্টি হচ্ছো মালবিকা!
এতো তাড়া কেন হে মৃত্যু
এতো তাড়া কেন ভাই?
মৃত্যু বলে কি মাথা কিনেছো তুমি?
তবে কেন তোমার
অপেক্ষার ফুরসৎ নাই ?
এই, তোমার আঁচলটা খোলো।
মাইরি বলছি,কেউ নাই এখানে-
এবার তোমার বোতামটাও খোলো।
নাহঃ হলো না। তবুও হলো না।
তার চেয়ে বরং তোমার সবটাই খোলো।
হাত দেবো একটু? একটু?
আহঃ কি নরম আর মসৃণ!
গোলাপ পাপড়িও এতো সুন্দর হয় না মালবিকা!
এতো জ্বালাও কেন হে মৃত্যু?
এতো জ্বালাও কেন ভাই?
দেখছো না-
প্রস্থানের আগে ঈশ্বরপূজা রত আমি
আমার মরবার সময় নাই?
এই,
ঠোঁট দুটো তোমার ছুঁবো?
হ্যাঁ হ্যাঁ, খুব আলতো করে।
মাইরি বলছি
এক্কেবারে আলতো করে।
এবার একটু কামড়ে দিই?
আহঃ কি সুন্দর! কি মিষ্টি!
এবার আলতো করে দু বার
এক্কেবারে মলম করে দু বার।
তুমি বড় নিষ্ঠুর হে মৃত্যু
তুমি বড় নির্মম নিষ্ঠুর!
দেখছো না, আমি ঈশ্বর পূজা করছি?
তোমাদের ঈশ্বরলোকে বুঝি
কেউ ঈশ্বর পূজা করে না ?
এই, চলো;
আমরা বরং ওঘরে যাই।
কোথায় যেন শেষ করেছিলাম?
এই, শাড়ির গিঁটটা এবার খুলে দিই?
না না সবটা নয়, একটুখানি খুলে দিই।
তুমি বড় ধৈর্যহীন হে মৃত্যু
তুমি বড় ধৈর্যহীন।
এই কে আছিস কোথায়?
আমার শাবল গাঁইতি নিয়ে আয়।
আজ মৃত্যু বুকে আমি
মৃত্যুর মরণ আঁকবো জানি।
© অরুণ মাজী
Painting: Charles Sprague Pearce
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem