পৃথিবী আঁধারে গেছে ঢেকে
সূর্য অস্তাচলে।
নেতাজি স্বামীজি বিদ্যাসাগর
নীরবে নিঃশ্বাস ফেলে।
শিশুরাও আজ
গোঁফে তা দেয়;
ফিতেতে, বুক মাপ করে।
দীর্ঘশ্বাস বুকে তাকায় তারা
বচ্চন মার্কা ম্যাচো ইমেজ
আর কত দূরে?
শিশু কন্যা
আধো আধো স্বরে,
তার মা-কে জিজ্ঞেস করে-
'মা, সিলিকন ব্রেস্ট
কোথায় পাওয়া যায়
কোন দেশে, কোন শহরে? '
চারিদিকে কেবল
'কেড়ে নাও, কেড়ে নাও' ধ্বনি
সহন সততার কথা না শুনি।
শিশুর খাওয়ার রাজা কেড়ে নিলে
বাজে না ব্যথার বাণী।
রাজার লেঠেল, গাইছে গান
মমতাময়ীর সুরে।
প্রতিবাদী হলে, ঢুকিয়ে দেবে ছেলে
আইবুড়ো মেয়ের ঘরে।
কথা ছিলো
'তিস্তা' হবে মানুষের স্পন্দনধ্বনি।
অথচ গরীব কৃষক মরছে ভুখা
কেবল শকুনের কলধ্বনি।
দূষিত হয়েছে শিশু মন আজ
দূষিত মাতৃগর্ভ।
দূষিত আজ স্কুল পাঠশালা
ন্যায়ের ডানা খর্ব।
শকুন রাজত্বে
আড়ালে আবডালে;
সবই পণ্য
সবই কেনা বেচা চলে।
কেনা বেচা চলে-
সিঁথির সিঁদুর
নিতম্ব খাঁজে সমুদ্র।
কেনা বেচা চলে-
ডাক্তার মোক্তার
সুলভ মানব চরিত্র।
পাছা চেঁটে দাও
বঙ্গ ভূষণ হয়ে যাও।
বগল চেঁটে দাও
নহানায়ক হয়ে যাও।
চেঁটে যাও, চেঁটে যাও
চেঁটে যাও যত অন্ডকোষের ঘা।
যদি না চাঁটো
খাবে ভাই, শাসকের হাতুড়ি ঘা।
বাহুতে বল
আর হৃদয় নৃশংস হলে,
কি না হয় আজ?
হাওয়াই চটি পরে
আর রাজদন্ড হাতে,
কি না করা যায় আজ?
হেগে দাও কাগজে,
তবুও হেঁকে দাও এক কোটি দাম।
প্রদীপ্ত সেন আছে,
বিজ্ঞাপনে, বাড়াবে তোমার নাম।
খবরের কাগজ আঁশটে গন্ধ
চরিত্রহীনতার ঋতুস্রাব লেগে তাতে।
ক্ষতি নেই ভাই, ক্ষতি নেই
যদি প্রভুর আমার, মুতে দেয় পাতে।
শীৎকারের শব্দ বাজে টিভিতে
আহাঃ রাজার কত ফূর্তি!
চেলা চামুন্ডা বাজায় সানাই
তারা বাড়ায় রাজার তৃপ্তি!
ইচ্ছে হয়
মুতে দিই পৃথিবীর মুখে;
মুতে দিই মুখে, আরও কত কার!
কিন্তু ধরিত্রী- মাতা আমার
মানুষ- ভ্রাতা আমার।
তাই অসহায় আমি মুতে দিই,
হতভাগ্য কপালে আমার।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem