।। সেদিন হতে শতবর্ষ পরে ।।
সেদিন হতে শতবর্ষ পরে
আজো ভাবি তোমার কবিতার পথপারে,
তোমার আগমন কি শুধুই গান গাহিবার তরে
সাহিত্যের লালিত্যের কম্পিত অধরে?
ওহে কবি-রবি,
না রহে নিরুত্তর ছবি,
বল কেন সেদিন ছন্দহীন বঙ্গে
কেন বেঁধেছিলে তার সুরের রঙ্গে,
সে কি শুধুই উপাসনা?
নাকি লহে পুষ্পের বাসনা
সৌরভে মজাইবার লাগি,
আত্মবিমুখ মহা জীবন জাগি,
নিঙাড়িয়া নিজেরে নি: শেষে
সুখী করে অপরেরে ভালবেসে,
গেছ চলে কালের অস্তাচলে
কেবল শতবর্ষ পরের আশাটুকু রেখে,
মলিনতামুক্ত মোদের স্বপ্নখানি দেখে ।
সূর্য কেন আসে, আলো দেয়,
বেলা শেষে কেন চলে যায়,
এ নিয়ে সংকীর্ণ মনে অনৈক্যের সংশয়,
কষ্টার্জিত জল্পনার অবসান নাহি হয়!
কেহ বলে প্রাণের রুদ্রবীণা বাজাইবার তরে
দিবোদয়, সাঁঝে মিলে আঁধারের ঘরে
নবপ্রভাতের সুখস্বপ্ন রাখি,
যেথা গান গাহে নবাশার পাখি ।
কবি-রবি রবিকবি সূর্যসম তুমি,
সাহিত্য জীবনের বিস্তীর্ণ মণ্ডল ভ্রমি
হয়ে গেছ কবেই অস্তমিত
রেখে নবপ্রভাতের প্রশ্ন ইতস্তত: ।
ঘোর নিশাকাল-
তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে নেশাময় সুরের বেড়াজাল,
হয়ত সাময়িক এ রাত,
হয়ত আসিবে এক নতুন প্রভাত,
তোমার চমক্ স্পর্শে উঠে জেগে,
দেখব প্রাণহীন নীল পূবাকাশ ভরেছ তুমি
প্রাণের রক্তরাগে,
সংকীর্ণ সংশয়ের করে অবসান,
এসেছ আবার হয়ে মুস্কিল আসান!
তবুও প্রাণের মাঝে বাজে হাহাকার
পূর্বদিনের মত সেদিনও
আমি রবনা হয়ত আর!
আমি বুঝি নিশাচর
দুই দিবসের মাঝে আমার বিচরণ-
রবে চির অগোচর!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem