পৃথিবী বনবন করে ঘুরছে
বাতাস শন শন করে বইছে
নদী খল খল করে খেলছে।
থেমে যাওয়া মানে
মরে যাওয়া।
চলতে না চাইলেও চলতে হয়।
দৌড়তে না পারলে হাঁটতে হয়
হাঁটতে না পারলে হামাগুড়ি দিতে হয়।
তবুও চলতে হয়।
চাঁদ ধরতে চাও?
পাবে। তাও পাবে।
তার জন্য তোমাকে যাত্রা করতে হবে।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে
যতই তুমি চাঁদের রহস্য আওড়াও
চাঁদ তাতে ধরা দেবে না।
চাঁদ ধরতে গেলে
চাঁদের অভিমুখে যাত্রা করতে হবে।
'অসম্ভব' শব্দটা
জীব জগতের শব্দ নয়।
'অসম্ভব' শব্দটা মৃতলোকের শব্দ।
যারা কখনো
তাদের লক্ষ্যে যাত্রা করে না
তাদের কাছেই, তাদের লক্ষ্য অসম্ভব থাকে।
পেন্তীর মা মুখ ঝাপ্টা দিয়ে বলে-
'দূর মুখপোড়া!
চাঁদ কখনো ধরা যায় নাকি? '
পেন্তীর মায়ের ভাবখানা এমন
যেন চাঁদের সে সবকিছু জানে!
ওহে পেন্তীর মা,
বলো তো- চাঁদের কটা ঠ্যাং?
পাড়া মাড়ানি বৃন্দাবনীর মতো
সে পান খেয়ে গান গায় কি না?
পেন্তীর মা তা জানে না।
তবুও সে
যাত্রায় বাগড়া দিতে ছাড়ে না।
পেন্তীর মা কি জানে-
সে মৃত লোকের বাসিন্দা?
ওহে পেন্তীর মা,
তুমি কি জানো-
তুমি মরে কবে ভূত হয়ে গেছো?
যারা ভূত, তারাই কেবল
'অসম্ভব' শব্দ উচ্চারণ করে।
© অরুণ মাজী
Painting: John William Goodward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem