নারীদের উঁচু বুকে
চোখ রেখে রেখেই
পুরুষদের গঙ্গাপ্রাপ্তি হয়।
কেবল নারী ঠোঁটের স্পর্শস্পৃহায়
পুরুষদের-
কৈশোর, যৌবন হয়
যৌবন, বার্ধক্য হয়।
নারী নিতম্বের খাঁজে খাঁজে
পুরুষ তার-
পৌরুষত্ব, বীর্য্য, ত্যাগ, প্রতিজ্ঞা, অভিমান-
সবই হারিয়ে ফেলে।
চোখ মেলো-
কি দেখছো? শিল্প?
অথবা নারী অবয়বে, কামনার স্রোত?
অথবা তার চোখে, সর্ব্ব বিধ্বংসী আগুন?
অথবা তার উঁচু উঁচু বুকে, পাহাড় চড়ার হাতছানি?
অথবা- পিচ্ছিল ঢেউ খেলানো নারী নিতম্বে,
উচ্ছৃঙ্খল চড়ুইভাতির স্বপ্ন?
নারীই কেবল শিল্প হয়!
নারী হাসলে, তা ফুল হয়ে ফুটে।
নারী হাঁটলে, তা নদী হয়ে খেলে।
নারী কাঁদলে, তা আকাশের কান্না হয়ে ঝরে।
নারী, নারী, আর নারী!
এ পৃথিবী- নারীময়!
কে আঁকে সে শিল্প?
কে দেখে সে শিল্প?
তাড়িয়ে তাড়িয়ে,
কে উপভোগ করে সে শিল্প?
লিওনার্দো ভিঞ্চি কোন নারীর নাম নয়!
অরুণ মাজী কোন নারীর নাম নয়!
কেবল পুরুষরাই নারী পূজা করে।
পুরুষরা-
নারীর
ভৃত্য ছিলো, আছে, থাকবে!
নারীর অসীম ক্ষমতায়
যে পুরুষ যত বেশি হীনমন্য,
সে পুরুষ নারীদের প্রতি তত নিষ্ঠুর!
সেই নিকৃষ্ট পুরুষ-
নারীকে ব্যথা দেয়,
বন্দী করে, বলাৎকার করে।
নারীর অসীম সৌন্দর্য্যে
যে পুরুষ মোহিত, পুলকিত, কৃতজ্ঞ;
সে পুরুষ, নারী-পূজা করে।
নারী ওষ্ঠে সে, গোলাপের পাপড়ি দেখে
নারী বক্ষে সে, মাতৃত্বের মায়া গড়ে
নারী নিতম্বে সে, মহাবিশ্বের গোলকধাঁধা আঁকে।
কেবল নারী পূজা করেই
পুরুষ-
তার জীবন যন্ত্রণার বৈতরিনী
এক লহমায় পেরিয়ে যেতে পারে!
রামকৃষ্ণ
কেবল 'সারদা' পূজা করেই
দেবতা হয়েছিলেন।
বিধান রায়
কেবল 'কল্যাণী' পূজা করেই
মহামানব হয়েছিলেন।
বুকটা তবুও ডুকরে ডুকরে উঠে!
আজকাল
পুরুষ, পৌরুষত্ব হারিয়ে ফেলছে;
নারী, নারীত্ব হারিয়ে ফেলছে।
সবাই আজ চরিত্রে, হিঁজড়া হতে চায়!
বকমবাজ পুরুষ
লোভের আড়ালে, নেংটি ইঁদুরের মতো চিঁ চিঁ করছে।
সম্মোহিনী নারী
স্বর্গীয় মাতৃত্ব ছেড়ে, পুতনা রাক্ষসী হয়ে উঠছে।
বুকটা ডুকরে উঠে গো
বুকটা ডুকরে উঠে।
হে ঈশ্বর
পুরুষ কেন পুরুষ হয় না ?
নারী কেন নারী হয় না?
মানুষ কেন মানুষ হয় না?
© অরুণ মাজী
Painting by Hugues Merle
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem