আকাশ চাইলে মেঘ দাও তুমি
মেঘ চাইলে বৃষ্টি দাও তুমি।
কিন্তু এসবের তো কিছুই চাই না আমি।
আমি চাই তোমাকে
একটুকরো তোমাকে।
বেলা হয়ে গেলো।
দেখতে দেখতে জীবনে আজ
গোধূলি নেমে এলো।
দেবে বলে
তোমার একটুকরো দেবে বলে
কদমতলায় ফুল পাড়িয়েছো তুমি
রাতদিন নদীতে ডুবিয়ে
রাজহাঁস ধরিয়েছো তুমি।
তোমার একটুকরো দেবে বলে
স্বপ্ন চোখে নক্ষত্র গুনিয়েছো তুমি
ব্যথা বুকে আনন্দের গান গাইয়েছো তুমি
কৃপণ বুকে ত্যাগ করিয়েছো তুমি।
কিন্তু এসবের তো কিছুই চাই না আমি।
আমি চাই তোমাকে
একটুকরো তোমাকে।
ওহে মালবিকা
এমনি করে কতদিন আর
শূণ্য পৃথিবী পূর্ণ দেখতে বলো?
যে চোখে মালবিকার স্পর্শ নেই
সে চোখে কতদিন আর
সুন্দর দেখতে বলো?
যে বুকে মালবিকার নখের আঁচড় নেই
সে বুকে কতদিন আর
ভালোবাসতে বলো?
আজ গোধূলি বেলায় যদি
চুরি ডাকাতি করে
তোমার সর্ব্বস্ব কেড়ে
তোমাকে রিক্ত করে দিই.....
অথবা নেকড়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ি
তোমার কোমল বুকে....
অথবা সিঁধ কেটে
ডুব দিই তোমার গোপন পুকুরে....
বুকে আগুন জ্বালিয়ে তুমি
শীতল হতে বলো?
রোমকূপে নেশা লাগিয়ে তুমি
ত্যাগী হতে বলো?
এ কেমন বিচার হে নারী
এ কেমন বিচার তোমার?
দেখো
একদিন যদি উন্মত্ত এঁড়ে গরু হয়ে
তোমার গোপন বাগান
এফোঁড় ওফোঁড় করে দিই......
একদিন যদি হিংস্র নেকড়ে হয়ে
তোমার ওষ্ঠ পাপড়ির একটু,
দাঁতের ফাঁকে ঢুকিয়ে
মৃত্যুর উদ্দেশ্যে রওনা হই...
পুরুষ বুকে পাপের আগুন জ্বালাবে
অথচ আগুনে তুমি পুড়বে না;
তা কেমন করে হয় হে নারী
তা কেমন করে হয়?
© অরুণ মাজী
Painting: Henri-Guillaume-Schelesinger
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem