জীবনের যত সুখ আনন্দ আর উচ্ছ্বাস কেবল "অকাজে"।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই তো রাতদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খাটছে। তাহলে মরণ শয্যায় তারা এতো বেশি পরিতাপ করছে কেন? সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে রোজগার করে যে আনন্দ তুমি পাও না, তার চেয়ে সহস্র গুন বেশি আনন্দ তুমি পাও- রাতের বেলা জ্যোৎস্নালোকিত আকাশে নক্ষত্রের দিকে চেয়ে।
মানুষ অকাজকে মূল্য দিতে ভুলে গেছে বলেই আজ মানুষের এতো যন্ত্রণা। পঞ্চাশ বছর আগের তুলনায় মানুষ এখন অনেক বেশি পরিশ্রম করে। তবুও- মানসিক অবসাদ উদ্বেগ আত্মহত্যা ইত্যাদি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কেন?
আজকের মানুষ তুমি। শেষ কবে তুমি পূর্ণিমা রাতে চাঁদের দিকে চেয়ে আকাশের অপরূপ ঐশ্বর্য্য উপভোগ করেছো? মনে করতে পারবে? পারবে না। কেন?
কারন- আজকের মানুষ তুমি, উদার ঐশ্বর্য্যময় প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য়কে মূল্য দিতে ভুলে গেছো। তাই বাইরে যখন পূর্ণিমা হেসে হেসে তোমায় ডাকছে, তখন তুমি ব্যাঙ্কের পাশ বই নিয়ে জমানো টাকার হিসেবে করছো। সত্যিকারের সুখ কি পেয়েছো তাতে?
অমল কি বলে জানো? সে বলে-
"তিনঘন্টা ধরে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে আমার জন্য রান্না করে মালবিকা যে সুখ আমাকে দিতে পারে না, তার চেয়ে অনেক বেশি সুখ আমাকে সে দিতে পারে- কেবল তার নরম গরম ঠোঁট দিয়ে আমাকে একটু ছুঁয়ে।"
কবে তুমি ভাবতে শিখবে হে মানুষ কবে তুমি ভাবতে শিখবে?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem