জীবদ্দশায়,
যে পুরুষ তার স্ত্রীকে একটুও বুঝতে চেষ্টা করে নি,
সেই পুরুষই স্ত্রী বিয়োগে দিনরাত আর্তনাদ করে।
মা বেঁচে থাকাকালীন,
যে সন্তান তার মাকে একটুও ভালোবাসে নি
সেই সন্তানই মাতৃবিয়োগে দিনরাত হাহাকার করে।
বেঁচে থাকতে থাকতে,
এক মানুষ আরেক মানুষকে বোঝে না।
মরে গেলেই যত কদর! মরে গেলেই যত আদিখ্যেতা!
২০০৬ সালে বাবাকে হারিয়েছি আমি।
বাবা যে কি,
বাবা বেঁচে থাকাকালীন তা আমি বুঝি নি।
কিন্তু আজ?
প্রতিমুহূর্তে, তার শূণ্যতা অনুভব করি।
বারবার ভাবি
বাবা যদি একবার ফিরে আসে
করজোড়ে মাফ চাইবো আমি।
বাবার শূণ্যতায়
আজ
বাবাকে ভালো করে বুঝতে পারি আমি।
শূণ্যতা না থাকলে
পূর্ণতার আশীর্বাদ কখনো অনুভব করা যায় না।
বেদনা না থাকলে
নিরাময়ের আনন্দ কখনো অনুভব করা যায় না।
বিচ্ছেদের হাহাকার না থাকলে
মিলনের সন্ধিক্ষণকে কখনো উপভোগ করা যায় না।
দুঃখের আঁচড় না থাকলে
সুখের কোমল স্পর্শ কখনো অনুধাবন করা যায় না।
হে মানুষ
তবুও কি বোঝোনা তুমি
এ জগতে,
মৃত্যু আছে কেন? হাহাকার আছে কেন?
দুঃখ-যন্ত্রণা আছে কেন?
© অরুণ মাজী
Painting: Daniel gerhertz
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem