দেড় লাখ ইহুদির প্রাণ রক্ষা করে নাগরিকত্ব দেন সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদ
ক্যাথলিক স্পেন যখন মূলত গৃহপালিত পশুচারণ করা ইহুদীদের বের করে দেয়, তখন তাদের ইউরোপের কোথাও যাবার পথ ছিল না।
১৪৯২ সালের জুলাই মাসের কথা। পুরো ইউরোপ নৃশংস ইহুদি-ঘৃণায় জ্বলছে। শেক্সপিয়রের মত ‘মহান' লেখকরা পর্যন্ত ইহুদিদের কুটিল এবং নিকৃষ্ট হিসাবে উপস্থাপন করছেন। ইউরোপীয় কোনও সমাজে তাদের ভাল চোখে দেখা হয় না। ক্রাইস্টের হত্যাকারী এবং ক্রাইস্টের শত্রু হিসাবেই দেখে খ্রিস্টিয়রা এদেরকে।
ঠিক সেই সময়টায়, এতগুলো মানুষ যাবে কোথায়?
কোথায় আর যাবে! যাঁকে ওয়ালী বলা হতো, সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের রাষ্ট্রেই যাবে। একজন মানুষ কতটা আলোকিত হলে বলতে পারে, ‘তোমরা ফার্দিনান্দকে বিচক্ষণ বলো? অথচ সে নিজে দরিদ্র হয়ে আমার দেশকে ধনী করলো।'
মানুষকে মানুষের মর্যাদা দেয়াটা সম্পদ, মানুষের বৈচিত্রই সম্পদ। মানুষকে মানুষের মর্যাদা না দেয়া দীনতা, হীনতা, নীচতা।
বায়েজিদ বলেছিলেন, তাদের স্বাগত জানাও। তাদের কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয়। তাদের সমস্যা হয়নি। তারা ঠিকই তুর্কি সাম্রাজ্য এবং মুসলিম খিলাফাতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছিল। শুধু তাদের গোপন সংঘ ‘ইয়াং টার্কস' মুসলিম খিলাফাতকে শেষ করে দেয়।
শত শত বছর ধরে তুর্কি খিলাফাত জেরুজালেমে ইহুদিদের থাকতে বাঁধা দেয়নি। কিন্তু মুসলিম খিলাফাতের পতন খুব বেশি দরকার হয়ে পড়েছিল এই ব্রিটিশদেরই? এই জায়নিস্টদেরই? একদিকে খিলাফাতের পতন ঘটে ব্রিটিশ-ইহুদি-সৌদ-ফ্রিম্যাসন গুপ্ত চক্রের হাতে, আরেক দিকে সৌদরা ক্ষমতা দখল করেই ব্রিটিশদের একেবারে লিখিতভাবে জেরুজালেম তো দূরের কথা, পুরো ফিলিস্তিন তুলে দেয়। ব্রিটিশরা আজব মানচিত্র করে ‘আরব-ইহুদি' রাষ্ট্রর নকশা দেখানোর নাম করে চার্চিলের আত্মীয় সামরিক অফিসার দিয়ে ইহুদি অভিবাসন নিশ্চিত করে।
জন্ম নেয় ইজরায়েল। হারিয়ে যায় ইতিহাসের অনেকগুলো পাতা।
((help from Golam Dastagir Lisani))
pic/ google search
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem