তত্বজিজ্ঞাসা
ওঁ তৎসত । "বেদে কহিতেছেন যে লিঙ্গ
দেহ পরমেশ্বরেতে লয়কে পায় অতএব
মরিলেই সকলের লিঙ্গশরীর ব্রহ্মেতে
লীন হয় এমত নহে"
পড়লুম এতোটা আর অনেক চেষ্টা করে
যেটুকু বুঝলুম, মরে গেলে ভয় নেই কোনো
লিঙ্গ দিব্বি পরমেশ্বরের স্টকে থাকে
কিন্তু সমস্যা হলো যদি হাতি হয়ে জন্মাই
তাহলে কি পরমেশ্বর ব্যবস্হা করবেন?
তাই আরেকটু পড়ে ভাবার চেষ্টা করি ।
ওঁ তৎসত । "বেদে কহিতেছেন যে ঐ
লিঙ্গশরীর নির্বাণ মুক্তি পর্যন্ত থাকে
যে-সদগুণ উপাসকের পুনর্বার জন্ম
হয়, তবে যে শ্রুতিতে কহিতেছেন যে
লিঙ্গশরীর মৃত্যুমাত্র ব্রহ্মেতে লীন হয়
তাহার তাৎপর্য এই যে মৃত্যুর পরে
সুষুপ্তির ন্যায় পরমাত্মাতে লয়কে পায়।
লিঙ্গশরীরের দৃষ্টি না হয় তাহার কোনো
কারণ নাই"
এবার ভড়কে গেলুম এইটুকু পড়ে, কেননা
আমি তো সদগুণ নই, উপাসকও নই
তাহলে কী হবে! যাক, নির্বাণ মুক্তি ওব্দি
থাকবে শুনছি তো, চাই না নির্বাণ মুক্তি
চাই না মৃত্যুমাত্র ব্রহ্মেতে লীন হোক, কিংবা
পরমাত্মায় ঘুমের মতন লীন হোক ।
ওঁ তৎসত । "শ্রুতিতে কহিতেছেন যে
লিঙ্গশরীর প্রমাণের দ্বারা ত্রসরেণুর ন্যায়
সূক্ষ্ম ও স্বরূপেতেও চক্ষুর ন্যায় সূক্ষ্ম হয়
যেহেতু বেদেতে লিঙ্গশরীরকে এমত সূক্ষ্ম
করিয়া দেখিয়াছেন যে নাড়ীর দ্বারা
তাহার নিঃসরণ হয় । তবে লিঙ্গশরীর
দৃষ্টিগোচর হয় না, ইহার কারণ এই যে
তাহার স্বরূপ প্রকট নহে"
এরকম বলবার কোনো মানে হয়?
হলেই বা ওনারা পণ্ডিত মানুষ, জানতেন
বহুকিছু । এটা তো বুঝলুম নাড়ীর দ্বারা
সকলেরই নিঃসরণ হয়, এও বঝলুম যে
স্বরূপেতে এলে চোখের মতন হয়ে ওঠে
অন্ধকারেও এক চোখ খুলে দেখতে পায়
নাহ, যতো পড়ছি ততোই মূর্খ প্রতিপন্ন
করে তুলছি নিজেকে ।
ওঁ তৎসত । "বেদে কহিতেছেন লিঙ্গশরীর
অতিসূক্ষ্ম হয় এই হেতু স্হূলদেহে মর্দনেতে
লিঙ্গে দেহের মর্দন হয় না । লিঙ্গশরীর
প্রমাণের দ্বারা স্হাপন করিতেছেন । লিঙ্গ
শরীরের উষ্মার দ্বারা স্হূল শরীরে উষ্মা
থাকে না, এই যুক্তির দ্বারা লিঙ্গ দেহে
শ্হাপন হইয়াছে"
যাক এতোক্ষণে বুঝতে পারলুম ব্যাপারটা,
যে, বাংলা অক্ষরে বাংলা কবিতা সবই
বুঝতে পারি তা কিন্তু নয় ।
ইতি । ওঁ তৎসত । ১৪২৪ বঙ্গাব্দ । ইংরেজি
২০১৭ খ্রিস্টাব্দ । পহেলা বৈশাখ। ১৫ এপ্রিল।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem