মৃত্যুর উঠোনে
এক ছিলিম তামাক, হুঁকো সহ টেনে;
এখানে ফিরে
তোমাদেরকে আমি, মৃত্যু দেশের গল্প বলতে চাই।
কনেকে যারা দেখেনি
তারাই কেবল কনের নিন্দা করে।
অথচ যে বুড়ো
ছেলের জন্য কনে দেখতে গিয়ে
নিজেই কনেকে নিয়ে, পগার পার ভেগেছিলো;
তার মুখে, কনের নিন্দে কেউ শুনে নি!
মৃত্যুরানীর- সোনালী সর্ষে ক্ষেত
আর হলদে পাহাড় যে দেখেছে;
তাদের কেউই, ফিরে কখনো আসে নি।
জীবিত মানুষকে ট্রাঙ্কল করে তারা বলে নি
তারা কষ্টে আছে, যন্ত্রণায় আছে!
অথচ জীবিত মানুষের জিব
নিন্দার নামে লকলকে!
শালারা নিন্দা করার সুযোগ পেলে
থেমে কখনো থাকে না।
ভাবছি মৃত্যুর সাথে দেখা করে
হুঁকো টানতে টানতে খোশগল্প করে
তার সাথে- হাসি মুখে সেল্ফি তুলে
এখানে ফিরে আসতে চাই।
সেই সেল্ফি, ফেসবুকে আপলোড করে
আমি পৃথিবীর কাছে প্রমান করতে চাই-
মৃত্যু অসুন্দর নয়, মৃত্যু নিষ্ঠুর নয়।
আসার সময়, পকেটে
এক চামচ চালতার চাটনিও আনতে চাই।
মৃত্যু রানীর হাত
রান্নাতেও যে খারাপ নয়
তারও প্রমাণ, আমি পকেটে আনতে চাই।
মরণ দেশের অভিবাসীদের
ভুঁড়ির উচ্চতাও, ফিতে দিয়ে আমি মেপে আনতে চাই।
আর যাই হোক
মরণ দেশে যে দুর্ভিক্ষ নেই, মহামারী নেই
সে কথা আমি হাতে হাতে প্রমাণ করতে চাই।
মরণদেশের নারীদের
সাক্ষাৎকার আমি, টেপরেকর্ডারে রেকর্ড করতে চাই।
ধর্ষণ যে কেবল বুদ্ধিযুক্ত মানুষরাই করে;
কিন্তু নরকের কোন কীটই আর করে না
সে কথা, আমি তথ্য সহকারে প্রমাণ করতে চাই।
মরণদেশের সংবিধানটা কেমন?
সেখানেও কি গণতন্ত্রের নামে গ্যাঁড়াতন্ত্র চলে?
সেখানেও কি গরীবের বন্ধুরা, গরীবীকে জিইয়ে রাখে?
সেখানেও কি নেতারা 'ধর্ষণ'-কে
'এটা তো সামান্য ঘটনা' বলে সাফাই দেয়?
সেখানেও কি নেতারা
যুবতী মেয়েদের ঘরে, ছেলে ঢুকিয়ে দেয়?
আমি তথ্য চিত্রের মাধ্যমে
সে সব কথা তুলে ধরতে চাই।
আজই, মৃত্যুর উঠোনে
এক ছিলিম তামাক, হুঁকো সহ টেনে;
এখানে ফিরে
তোমাদেরকে আমি, মৃত্যু দেশের গল্প বলতে চাই।
© অরুণ মাজী
Painting: Eugene De Blaas
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem