ছেলেবেলায় আমাদের বাড়িতে মাসী এলে আমার খুব আনন্দ হতো
মায়ের মেজাজও ভাল থাকত ফলে বকুনি ঠেসুনিও কম হতো
এতো আনন্দ হতো যে দৌড়ে পাড়ায় গিয়ে
কেড়ে আঙ্গুল ছুঁয়ে আড়ি দেওয়া অরুণার কাছে গিয়ে
বুড়ো আঙ্গুল ছুঁয়ে ভাব করে নিতাম ‘আজ মাসী এসেছে যে'
আরও মজার কারণ মাসী রান্নাকরে ভাল, করকরা রুটি করে দেয় যে
যে ক'দিন আমাদের বাড়ী থাকত মাসীই রান্না করত
‘দিদির একটু বিশ্রাম দরকার যে'
সংসারে যারা নিজেকে খুব জ্ঞানীগুনী বলে দাবি করে
তারা অবশ্য বলত ‘পয়সা খরচ করে তুমি কেমন আছ,
আমি ভাল আছি করার কোনো মানেই হয় না,
গাড়ী ভাড়া দিয়ে একদিনের বাজার হয়ে যায়'
শুনে মাসীর সে কি হাসি ‘জামাইবাবুর কথা শোনো'
বলে আবার হাসি।
বাবার কথায় সায় দিলে বিজ্ঞ হবো ভেবে
অন্তর না চাইলেও বলতাম তাই তো।
মাসী চলে যাওয়ার সময় দেখতাম মা মাসীর চোখ ছলছল
মা ধরা গলায় বলত ‘আবার আসিস'
‘হু, আসুম, তুই ভাল থাকিস'
সে যুগে এত আনন্দ এত মজা ছিল কারণ
সে যুগে যন্ত্র ইঁদুর ছিল না
সে যুগে মা যা পেয়েছে আমি তা পাই না
অপেক্ষায় থাকি আমি কখন আসবে ছোট বোনটি
বলবে ‘কেমন আছিস দিদি'
কিন্তু বোনটি আমার বিজ্ঞ হয়েছে বাবার মতো
ও জানে যাতায়াতের গাড়ীভাড়া দিয়ে ছেলের যন্ত্র ইঁদুরের জন্য
একটি সফ্টওয়ার কেনা যাবে
যন্ত্রইঁদুরের লেজের পিছনে ছুটতে ছুটতে
দিদির হৃদযন্ত্রটির কোনো মূল্যই নেই ওর কাছে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
কিন্তু বোনটি আমার বিজ্ঞ হয়েছে বাবার মতো ও জানে যাতায়াতের গাড়ীভাড়া দিয়ে ছেলের যন্ত্র ইঁদুরের জন্য একটি সফ্টওয়ার কেনা যাবে যন্ত্রইঁদুরের লেজের পিছনে ছুটতে ছুটতে দিদির হৃদযন্ত্রটির কোনো মূল্যই নেই ওর কাছে।....outstanding conceptualization. Beautiful poem is amazingly shared. Thanks for sharing.