শোকের মিছিলে তুমি থেকো;
অনর্গল প্রখর রোদের চলাচলে
অথবা রাত্রির মেঘের গর্ভের ঝমঝমে...
তুমি থেকো সেই দিন
যেদিন নিজের চারণ ভূমিতে কবিতার দেশ
ধীরেধীরে চূড়ান্ত শান্তিতে সমাহিত হবে
অন্ধকার আলো করে
এ দেহের গন্ধ নিয়ে যাবে পরিযায়ী পাখি
দূর কোনো এক দেশে
তারপর-
মিলনে গর্ভের সঞ্চারে
আরও এক নতুন যুগের স্বপ্নের গভীর দেশে
পরিযায়ী মা পাখি অতল আকাশের বুকে চিরন্তনী
সন্ততির জন্ম দেবে
এই দেহ কনোদিন ছিলোনা পাষাণপুরী
হাহাকারের গভীরে চিরকাল খুজেছিলো প্রেম,
রিক্ত অন্ধকারের অন্তরে
তুমি এসো রাত্রির মেঘের ঝমঝমে
এক সুগভীর বিশ্বাসে আমার ধূলিধূসর গ্রামের পথে
ব্যস্ত মিছিলের প্রথম সারিতে
সেদিন শিরায় শিরায় বিদ্যুৎ খেলে যাবে;
আমাদের স্থির মনে বিপ্লবের চূড়ান্ত ভাস্কর্য
এঁকে দেবেব্যথিত অস্তিত্বে
এক অন্যতম নির্জন সকাল
ক্লান্তির দুঃসহ যন্ত্রনাকে গর্বিত করবে
অভিশপ্ত সমূহ অভাব মুছে দিয়ে
আমাদের কবিতার দেশ আলো করে
চলে যাবে সেই বিপ্লবের গন্ধ
পরিযায়ী পাখির মতন আরো অন্যকোনো দেশে
ব্যথিত অস্তিত্ব মুছে দিতে
তুমি এসো-
থেকো আমার অস্তিত্ব ঘিরে
অরন্যের পথে বাঁশিওয়ালার বিস্তীর্ণ দুঃখিনী সুরে
কোনো এক বিপ্লবীর মতো
প্রত্যেক জোৎস্নার আলোতে সেসব
পরিযায়ী পাখিদের জীবনের গান
শান্ত প্রদীপের মতো জ্বলবে অন্তরে
আমাদের ব্যথিত অস্তিত্ব ঘিরে
আমাদের আলোকিত করবে নতুন ভোরে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
তারপর যদি এ তুমি না আসো যদি না গান করো উদার প্রান্তরে যদি না লিখো কোনো কবিতার শ্লোক যদি থেমে যায় পরিযায়ী পাখিদের গান যদি না বাজায় বাঁশি উদাস দুপুরে সে রাখাল বালক যদি ঝিরিঝিরি বাতাসের কোমল মিছিল থেমে যায় যদি প্রিয়ার চকিত চাহনিতে না থাকে আরাধ্য অভিমান তবে এ আমি, এ আমার অস্তিত্ত্ব বিলীন হবে ব্যথার বিস্মৃত বধ্যমঞ্চে