চলো না ঘুরে আসি ভারতের ইতিহাসে,
দেখে আসি ভূগোলে আঁকা আমার ভারতকে।
চলো যাই সাতান্নর সেই পলাশীর আমবাগানে
যেখানে এক মীরজাফরের ভুলে লেখা হল ইতিহাস।
মারে সাদা মানুষের দল পারলো লোহার বেড়ি,
ভারতসন্তান বানল ওই সাদা গুঁটিকয়েক লোকের দাস।
সাতচল্লিশে লেখা রয়েছে এক অনন্য অন্য ইতিহাস,
শঙ্খ ধ্বনিতে মাতোয়ারা ইতিহাসে পড়ল ভাগের ছায়ারেখা।
একই দেশের চাঁদ-চক্র ইতিহাসের দুই পতাকার ছাপে
সাদা কাপড় ইতিহাসে হল তোমার আমার প্রিয় প্রতীক।
আমার-তোমার ঝগড়া, গুলির সশব্দ বিনিময়, কার্গিল,
মৃত্যু, গান-স্যালুট, কফিন-সবই যে সময় পেরোলেই ইতিহাস।
সময় পেরোলেই ইতিহাস, আর আমি-তুমি তার অনন্ত সাক্ষী।
ব্যস্ত রাস্তা পেরোনোর পিছনে তৈরি ফুটপাথের শিশুর ইতিহাসে,
ছোট্ট কচির দল শীতের সকালে মাতে লুডো খেলার উষ্ণতায়।
সহজপাঠ-এর ইতিহাস ভুলে স্টেশনে হাতে থালা নেড়ে নেড়ে
মুখের ভাষায় পেনহীন জীবনের খাতায় লেখে ভিখারির ইতিহাস।
পলাশী, স্বাধীনতা, ভাগ, কার্গিল, মৃত্যু, কফিনের ইতিহাস কি মূল্যবান,
আর ওই ভিখারি শিশুদের থালা, লুডোর সস্তা ইতিহাসের মূল্য কত?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem