গড় করি মা, গড় করি
আমাকে সুন্দরী একটা বৌ দাও মা।
খুব সুন্দরী। তোমার মতো সুন্দরী মা।
নাঃ তোমার মতো নয় মা।
তোমার থেকে, আর একটু বেশী সুন্দরী।
তোমার নাকটা কেমন বোঁচা বোঁচা
আর চোখটা কেমন ট্যাড়া ট্যাড়া।
তুমি বরং তোমার সব ধন দাও মা। সব।
তোমার জমির দলিল, ব্যাঙ্কের টাকা
ঠাকুর বাসন, গায়ের গয়না, নাকছাবি
তোমার বাপের দেওয়া হীরের নেকলেস-
সব দাও মা। সব।
আমাকে দিতে লাগবে না মা
শুধু বৌকে দিলেই হবে।
তুমি তো জানো মা,
আমি যেন একটু কেমন কেমন।
পয়সা থাকলেই উড়িয়ে দিই।
গাঁজার আজকাল কি দাম মা-
এক ছিলিমের দাম হাজার টাকা!
রোজ রোজ কি আর গাঁজা দিয়ে চলে?
জীবনে কি কোন বৈচিত্র্য নেই?
মাঝে মাঝে, বিলিতির দামও দিও মা।
নগদে দিতে হবে না;
শ্বশুরের ব্যাঙ্কে থাকলেই চলবে।
দেখো আবার-
তার যেন সবেধন নীলমনি,
একটা মেয়েই হয়।
কোন বাপ-ই বা তার, একমাত্র মেয়েকে
দুঃখী দেখতে চাই মা?
কোন শ্বশুরই বা তার একমাত্র জামাইকে
ভিখিরী দেখতে চাই?
শ্বশুর যদি- খাসা মনের, পূর্ণ ধনের হয়
তো মেয়ের নাক বোঁচা হলেও সয়।
ব্যাঙ্ক চকচক করলে
মুখ এমনিই চকচক করে মা।
হোক না তার কপালটা একটু উঁচু
বা দাঁত কটা তার ভাঙা একটু আধটু!
কুমারী যদি রাজকুমারী হয়
জীবনে সব সয় মা। সব সয়।
যাঃ আসল কথা-ই তোমাকে বলি নি-
সুন্দরী বৌ দিলে
তোমাকে আস্ত একটা পাঁঠা দেবো মা।
নাঃ একটা নয়। তিন তিনটে পাঁঠা দেবো।
নধর নধর, কচি কচি পাঁঠা মা।
গড় করি মা, গড় করি
আমাকে সুন্দরী একটা বৌ দাও মা।
© অরুণ মাজী
Painting: Jin Shangyi
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem