মেয়েটি পাড়ার মধ্যমনি
ডাকলে কোনো দরকারে হাজির হয় সে তক্ষুনি
করতে রাজি সব কাজ নেই কোনো ঠাঁট বাঁট
পারে সে করত জুতো সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ
কারো সঙ্গে যাবে রেশন অফিসে কখনো বা মাতৃসদনে
মুখের হাসিটি অমলিন বিকৃতি নাই বদনে।
সাদা পাতার ওপর আঁকাবাঁকা অক্ষরগুলো অনুশাসনে কব্জা তার
জানে না সে বোঝে না সে আরো আঁকাবাঁকা পথে বদ্ধ যে এ সংসার।
আমি মাসী তার,
বড্ড নেওটা আমার
দোষের মধ্যে তার শুধু করে একটু আধটু বায়না
তবে নেহাতই নায্য তা বাতিল করা যায় না।
বলি আমি ‘বড় হয়েছ এবার তো করতে হবে ঘরকন্না
বলে সে ‘যে ছেলে পণ নেবে তার গলায় মালা দেব না।
অবশেষে শর্ত মেনে এক গুনী মানুষ গলায় মালা পড়াল তার
দুরন্ত দামাল মেয়েটা কাবু হ'ল এবার।
পন্ডিত কবি বউ পেয়ে জামাই বাবাজীবন তো আহ্লাদে আটখানা
টেরটি পাবে তখন মধ্যরাতে যখন ‘মাসীর কাছে যাব বলে জুরে দেবে বায়না।
তবে বায়না রোগের আছে এক মোক্ষম দাওয়াই
শুধু এর জন্য এক বুক ভালবাসা চাই ।
শুনিয়া দাওয়াই বাবাজীবন মহাখুশী
বললে ‘তোমার প্রেস্ক্রিপসন অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো মাসী'।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem