●
.
উঠানে একটা আপেল গাছ ছিলো—
এটা হবে হয়তো
চল্লিশ বছর আগে— পিছনে,
শুধুই অবারিত গোচারণভূমি। স্যাঁতসেতে
ঘাসের ভিতর ক্রোকাস ফুলের মৃদু আলোড়ন।
জানালায় দাঁড়িয়ে ছিলাম:
এপ্রিলের শেষ-প্রায়। প্রতিবেশিদের উঠানে
বসন্তকালের পুষ্প-সমারোহ।
কতবার, সত্যি, সেই গাছটা
আমার জন্মদিনে ফুল ফোটাতো,
ঠিকঠাক ওই দিনে, আগে
না, পরেও নয়? সেই
প্রস্ফুটন
স্থানান্তরের পক্ষে, অপরিবর্তনীয় বিকল্প।
নিরলস পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি
ফুটিয়ে তোলার প্রতীক। এই
জায়গার ব্যাপারে আমি যা কিছু জানি,
কয়েক দশক ধরে ওই গাছটার ভূমিকায়
অবতীর্ণ হয়েছে একটা বনসাই, লোকেদের কণ্ঠস্বর
উচ্চকিত হচ্ছে টেনিসকোর্টগুলো থেকে—
মাঠগুলো থেকে। লম্বা ঘাসের সদ্য কাটা গন্ধ।
এক গীতিকবির কাছে যেমনটি কেউ প্রত্যাশা করে।
আমরা একবারই বিশ্বকে দেখি, শৈশবে।
বাকিটুকু স্মৃতি।
.
.
* লুইস গ্লুক [২২ এপ্রিল ১৯৪৩ - ]:
২০২০ সালে কবিতার জন্য নোবেলজয়ী মার্কিন কবি। পুরোনাম: লুইস এলিসাবেথ গ্লুক। নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণকারী গ্লুক [জন্মসূত্রে মার্কিনী] পিতৃপুরুষসূত্রে হাঙ্গেরিয়ান ইহুদি-বংশোদ্ভুত এবং মায়ের দিক থেক রুশিয়ান ইহুদি। পড়াশুনা করেছেন সারাহ লরেন্স কলেজ ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষা অংশের অধ্যাপক এবং আবাসিক লেখক। গ্লুক ১৯৯৩ সালে কবিতার জন্য পুলিৎজার পান এবং ২০১৪ সালে পান যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড'। অবশ্য, ২০০২-২০০৩ মেয়াদে তিনি মার্কিন পোয়েট লরিয়েট হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এখন অব্দি তার কবিতাগ্রন্থ ১৪টি; ২টি চ্যাপবুক এবং ২টি কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কাব্য, ফার্স্টবর্ন প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। উল্লেখযোগ্য কবিতাগ্রন্থ: দ্য ট্রুয়াম্ফ অব আকিলিস [১৯৮৫] এবং দ্য ওয়াইল্ড আইরিস [১৯৯২]। তার কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ: প্রুফস এন্ড থিয়োরিস [১৯৯৪] এবং আমেরিকার অরিজিন্যালিটি [২০১৭], গ্রন্থ দুটিতেও মৌলিক ভাবনার স্ফূরণ ঘটেছে।
.
●
#বাঙলায়ন: #রহমানহেনরী; #Bengalized by #RahmanHenry
.
.
#LouiseGlückPoems
.
** জার্মান ভাষায় এ কবির নাম: লুইজ এলিসাবেথ গ্লিক
.
.
.
*
.
আমরা একবারই বিশ্বকে দেখি, শৈশবে। বাকিটুকু স্মৃতি।.....এ স্মৃতিতেই মনুষ্য মন ফিরে যায় আর বেঁচে থাকার পথ খুঁজে সে চারণে. সুন্দর ও সাবলীল অনুবাদ